কাশ্মীরে গুলিতে ১২ বিক্ষোভকারী নিহত

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে গতকাল সোমবার পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ১২ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের হাতে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। কর্মকর্তারা বলেছেন, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী কারফিউ ভেঙে রাস্তায় নেমে ভাঙচুর শুরু করলে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায়।
কর্মকর্তারা বলেছেন, সম্প্রতি কাশ্মীরে এক শিশুকে পুলিশ সদস্যরা গুলি করে হত্যা করার পর সেখানে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঘটনায় কাশ্মীরের মুসলমানেরা গতকাল বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতবিরোধী স্লোগান দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, বাদগাম জেলায় পুলিশের গুলিতে মারা গেছে পাঁচজন বিক্ষোভকারী। ওই এলাকাতেই গণরোষের শিকার হয়ে এক পুলিশ সদস্য প্রাণ হারান। ওই একই জেলার তাংমার্গ গ্রামে বিক্ষোভকারীরা গির্জা পরিচালিত একটি বিদ্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেখানে বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ গুলি চালালে সেখানেও পাঁচজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়। এ ছাড়া উত্তর বান্দীপোড়া জেলায় একজন এবং দক্ষিণ প্যামপোর জেলায় আরেকজন বিক্ষোভকারী গুলিতে মারা যায়। কর্মকর্তারা বলেছেন, গত তিন মাসের মধ্যে এটিই কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় সহিংস ঘটনা।
সাত শহরে কারফিউ: অগ্নিসংযোগ এবং বেশ কয়েকটি সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার শ্রীনগরসহ সাতটি শহরে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়।
সরকারি সূত্র জানায়, শনিবার রাতে বেসামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে রাজ্যের রাজধানী ও অন্যান্য অংশে কারফিউ জারি করা হয়। সমগ্র শ্রীনগর ছাড়াও অন্য যেসব শহরে কারফিউ বলবৎ করা হয়, সেগুলো হলো দক্ষিণাঞ্চলীয় অনন্তনাগ, বিজবেহারা পুলওয়ামা, কাকাপোরা ও গোপোর এবং উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য হাজার হাজার পুলিশ ও আধাসামরিক সিআরপিএফ জওয়ান কারফিউ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।
শহরগুলোতে কারফিউ বলবৎ রাখতে গতকাল নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়িতে ভারী অস্ত্র সজ্জিত করে টহল দিতে দেখা যায়।

No comments

Powered by Blogger.