দুই ‘ছোট’র লড়াই

গ্রুপে আর্জেন্টিনাকে সবার ওপরে রাখলে পরের জায়গাটা কার—নাইজেরিয়া, গ্রিস, না দক্ষিণ কোরিয়ার? তিন দলের মধ্যে কারা গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে যাবে দ্বিতীয় রাউন্ডে? আজ হয়তো একটা ধারণা পাওয়া যাবে। আর্জেন্টিনার সামনে যেমন দাঁড়াচ্ছে নাইজেরিয়া, গ্রিস-দক্ষিণ কোরিয়াও মুখোমুখি হচ্ছে আজই।
বিশ্বকাপে তো বটেই, গ্রিস-দক্ষিণ কোরিয়া এটিই প্রথম ম্যাচ। কাজেই তারা একে অন্যের ‘অচেনা’ প্রতিপক্ষই। তবে কোরিয়াকে বেশি দেখার সুযোগ হয়েছে গ্রিসের। বিশ্বকাপ-মঞ্চে কোরিয়া খেলছে টানা সপ্তমবার। কোরিয়াকে সারা দুনিয়া অবাক বিস্ময়ে দেখেছে ২০০২ বিশ্বকাপে। যেবার তারা নিজেদের মাঠে উঠে গিয়েছিল সেমিফাইনালে!
দুই বছর পর ইউরোপ-সেরা হয়ে বিশ্ব ফুটবলকে নাড়া দিয়েছে গ্রিসও। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তাদের বড় অর্জন এটাই। কিন্তু সেই অর্জন যেন বুদ্বুদের মতো মিলিয়েই গেছে। এরপর গ্রিসকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে দলটির সঙ্গে ইউরো জয়ের কারিগর কোচ অটো রেহাগেল এখনো আছেন, যাঁর হাত ধরে এবার বিশ্বকাপে সাড়া ফেলতে চায় গ্রিস।
বিশ্বকাপে সাড়া! চাইলেও সহজ নয়। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে প্রথম এবং একমাত্র অংশগ্রহণেই সেটা টের পেয়েছে গ্রিস। দেশে ফেরার সময় তিন ম্যাচেই হেরে যাওয়াকে হয়তো বড় করে দেখেনি গ্রিস। আক্ষেপটা ছিল এই ভেবে যে ‘একটি গোলও আমরা করতে পারলাম না!’
আজ তাই কোরিয়ার বিপক্ষে গ্রিসের প্রথম লক্ষ্যই থাকবে গোল করা। জয় পেলে তো খুবই ভালো। জয় চাইবে কোরিয়াও। এই ম্যাচের জয়ী দল দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার দরজাটা কিছুটা হলেও খুলতে পারবে। অন্য দলটিকে হয়তো পোর্ট এলিজাবেথ থেকেই ব্যাগ গোছানোর প্রস্তুতি নিতে হবে।
বার্তা সংস্থাগুলো বলছে, টুর্নামেন্টের ‘কালো ঘোড়া’ হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আসা দু দলের আসল ম্যাচটা আসলে আজই। দক্ষিণ কোরিয়ার এবারের বিশ্বকাপ-যাত্রাকে দেখা হচ্ছে অন্যভাবেও—তারা কি বিশ্ব ফুটবলে শক্তি হয়ে দাঁড়াতে পারবে? এই বিশ্বকাপে সেই প্রশ্নের উত্তরও খোঁজা চলছে?
দক্ষিণ কোরিয়া দলটায় আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বড় তারকা পার্ক জি-সুং। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার এই দলের অধিনায়কও। মাঠে দক্ষিণ কোরিয়ার সব সৃজনশীলতার কেন্দ্রেই থাকবেন দেশের হয়ে ৮৮ ম্যাচ খেলা পার্ক।
দক্ষিণ কোরিয়া-গ্রিস
পার্ক জি-সুং
অবিশ্বাস্য দমের জন্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সতীর্থরা তাঁকে ডাকেন ‘থ্রি লাংস’। গত দুই বিশ্বকাপে পর্তুগাল ও ফ্রান্সের বিপক্ষে দুর্দান্ত দুটি গোল করা পার্ক জি-সুং এবার নিজেকে আরও উজাড় করে দিতে চাইবেন, অধিনায়কের আর্মব্যান্ড যে থাকছে তাঁর হাতে!
থিওফানিস গেকাস
ফর্ম হারিয়ে বুন্দেসলিগায় গত তিন বছরে ধারে খেলতে হয়েছে তিনটি ক্লাবে। তবে থিওফানিস গেকাস দারুণ সফল জাতীয় দলে, অনেক বিখ্যাত নাম টপকে ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে হয়েছেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। পাল্টা আক্রমণে গ্রিস নির্ভর করবে গেকাসের ওপর।

No comments

Powered by Blogger.