এত দিনে বুঝছেন জেরার্ড

সৈনিকটির পরনে তখনো যুদ্ধের পোশাক। হয়তো আগের দিনই যুদ্ধ করে এসেছেন, একটু পরই আবার হয়তো যুদ্ধে যেতে হবে। রণক্লান্ত মুখটা স্টিভেন জেরার্ডদের দিকে তুলে দৃঢ়কণ্ঠে বললেন, ‘আমরাও আপনাদের মতো প্রচণ্ড চাপের মুখে লক্ষ্য ঠিক রাখি। আমাদের জন্য এবার ট্রফিটা নিয়ে আসবেন।’
না, আফগানিস্তানের ব্রিটিশ সৈনিকেরা কেউ দক্ষিণ আফ্রিকায় আসতে পারেননি। এমন আবেগময় সব বার্তা ভিডিও করে একটা ডিভিডি আকারে পাঠানো হয়েছে রাস্টেনবার্গে, ইংল্যান্ডের বেস ক্যাম্পে। সৈনিকদের ‘বন্ধু’ ডেভিড বেকহামের কাছে পাঠানো এই ডিভিডি দেখে নাকি জেগে উঠেছে ইংলিশ ক্যাম্প। হঠাত্ হয়ে যাওয়া অধিনায়ক জেরার্ড বলছেন, তাঁরা নতুন করে বিশ্বকাপ জয়ের অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন।
জন টেরির অধিনায়কত্ব যাওয়ার পরই ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব পাওয়ার একটা সম্ভাবনা ছিল জেরার্ডের। তা না পেলেও কাকতালীয়ভাবে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব করছেন জেরার্ডই, সেটা পেয়েছেন রিও ফার্ডিনান্ডের ইনজুরির কারণে।
আফগানিস্তানে লড়তে থাকা ব্রিটিশ সৈনিকদের পাঠানো এই বার্তা দেখে জেরার্ড অনুভব করছেন, ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব করতে পারাটা কত সৌভাগ্যের ব্যাপার, ‘সবাই আমাদের জন্য প্রার্থনা করেছে, আমাদের সাফল্য কামনা করেছে। এখন আমরা বুঝতে পারছি, খেলা কাছে চলে এসেছে এবং আমাদের পেছনে কী পরিমাণ সমর্থন। এই বার্তাগুলো দেখে আমি বুঝতে পারছি, বিশ্বকাপে দলের নেতৃত্ব দেওয়াটা কত সৌভাগ্যের।’
শুধু সেনাবাহিনীর সদস্যরা নয়, ইংল্যান্ড দলকে এই ডিভিডিতে বার্তা পাঠিয়েছেন আফগানিস্তানে লড়তে থাকা বৈমানিক, নৌ-সেনা সদস্যরাও। গড়পরতা সবার প্রায় একই চাওয়া, বিশ্বকাপ জিতে আনতে হবে। কেউ বলছেন, ‘গুড লাক। ট্রফিটা দেশে নিয়ে ফিরো।’ আবার কেউ বলেছেন, ‘আমাদের মুখ চেয়ে ফাইনালে উঠো।’
এসব কথা জেরার্ডদের অনুপ্রাণিত করছে। একই সঙ্গে জেরার্ড অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন ওয়েইন রুনিতেও। আবার পুরোনো মেজাজটা ফিরে আসায় রুনিকে নিয়ে ইংলিশ সংবাদমাধ্যম যখন একটু শঙ্কিত, তখন জেরার্ড বলছেন, রুনিই হতে যাচ্ছেন এবারের বিশ্বকাপ নায়ক। ওয়েইন রুনির বর্তমান ফিটনেস দেখে এবারের বিশ্বকাপে তাঁর ‘পেলে-ম্যারাডোনা’ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন অধিনায়ক, ‘ওর আত্মবিশ্বাস আকাশচুম্বী। অসাধারণ একটা মৌসুম, সম্ভবত ওর ক্যারিয়ারের সেরা মৌসুম কাটিয়ে এসেছে। আমি এটা ভেবেই খুশি যে ও একজন ইংলিশ।

No comments

Powered by Blogger.