কাশ্মির ও লাদাখ নিয়ে ভারতকে সতর্ক করলো চীন

জম্মু-কাশ্মির প্রশ্নে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তকে ‘একতরফা ব্যবস্থা’ উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছে চীন। একইসঙ্গে লাদাখকে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল হিসেবে পুনর্গঠনের সিদ্ধান্তকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়েছে দেশটি। তবে চীনের সমালোচনা নাকচ করে দিয়ে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দিল্লি। চীন ও ভারতের মধ্যকার বিবাদপূর্ণ এলাকা লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার প্রস্তাবটি ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ ব্যাপার’ বলে উল্লেখ করেছে দেশটি।

ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়ার পর জম্মু-কাশ্মিরের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে রাজ্য থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে রাজ্যসভায় বিল পাস করেছে বিজেপি সরকার। জম্মু-কাশ্মির পুনর্গঠন বিল ২০১৯ নামের এ বিলের আওতায় জম্মু-কাশ্মিরকে দু’ভাগ করে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পরিণত করার কথা বলা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মির ও লাদাখ হবে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।

সোমবার এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া না জানালেও মঙ্গলবার দুটি আলাদা বিবৃতি দিয়েছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সীমান্ত ইস্যুতে কথা বলা ও কর্মকাণ্ড ঠিক করার ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। দুই পক্ষের মধ্যে এ সংক্রান্ত যে সমঝোতা হয়েছিল তা মেনে চলার জন্য এবং সীমান্ত ইস্যুগুলো আরও জটিল করে তুলবে এমন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিরোধপূর্ণ এলাকা লাদাখের নিয়ন্ত্রণ বেইজিংয়ের হাতে হলেও ভারত বরাবরই একে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে আসছে। এ এলাকাকে ভারতের কেন্দ্র শাসনের আওতায় নিয়ে যাওয়ার ঘোষণার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চীন-ভারত সীমান্তের পশ্চিম অংশে ভারতের প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে চীনা এলাকার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বরাবরই বিরোধিতা করে আসছে বেইজিং। এ অবস্থানটি দৃঢ়, অবিচল ও কখনও পরিবর্তন হয়নি। সম্প্রতি দেশের অভ্যন্তরীণ আইন সংশোধনের মধ্য দিয়ে ভারতীয় পক্ষ একতরফা চীনের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করে যাচ্ছে।’

No comments

Powered by Blogger.