জাতিসঙ্ঘের নতুন নিষেধাজ্ঞা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল : উ. কোরিয়া

জাতিসঙ্ঘের পক্ষ থেকে সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞাকে "যুদ্ধ ঘোষণার শামিল" বলে অভিহিত করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপ পুরোপুরিভাবে অর্থনৈতিক অবরোধের সমতুল্য। কেসিএনএ নিউজ এজেন্সি এই খবর জানিয়েছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, 'উত্তর কোরিয়ার শক্তি বৃদ্ধিই যুক্তরাষ্ট্রকে হতাশ করার একমাত্র উপায়।' পিয়ংইয়ংয়ের ব্যালিস্টিক মিসাইল টেস্টের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ নতুন এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে অতীতের তুলনায় আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবটি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আনা হয় এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জাতিসঙ্ঘের সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞাকে বলা হয়েছে "প্রজাতন্ত্রের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসেবে এবং 'যুদ্ধ ঘোষণার শামিল' যা কোরীয় উপদ্বীপ ও বৃহত্তর আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা ধ্বংস করছে।"
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণভাবে ভীত এবং পারমাণবিক শক্তি সম্পূর্ণ করা-ই এর ঐতিহাসিক কারণ । যুক্তরাষ্ট্র আরো বেশি উন্মত্ত হয়ে উঠছে এবং একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও চাপ প্রয়োগের জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারসাম্যপূর্ণ শক্তি স্থাপনের কথাও বলা হয়েছে বিবৃতিতে। "আমরা আমাদের আত্মরক্ষার জন্য পারমাণবিক শক্তি-বৃদ্ধিকরণ অব্যাহত রাখবো মূলত মার্কিন পারমাণবিক হুমকি, প্রতারণা এবং প্রতিকুল কর্মসূচির মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহারিক শক্তি স্থাপনের জন্য।'' দেশটি ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসঙ্ঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে। এটি ছিল উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১০ম নিষেধাজ্ঞা আরোপ। নতুন প্রস্তাবে তেল ও পেট্রোল আমদানি কমিয়ে আনার কথা বলা হয়।

No comments

Powered by Blogger.