শীত কাটিয়ে গণিতের উৎসবে শিক্ষার্থীরা

শিশিরভেজা শীতের সকালে বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে ও জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে বাগেরহাটে শুরু হয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো আঞ্চলিক গণিত উৎসব। আজ রোববার সকাল নয়টার দিকে বাগেরহাট শহরের খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা, জাতীয় গণিত উৎসব ও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস। জাতীয় গণিত উৎসবের পতাকা উত্তোলন করেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় এবং আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খোন্দকার আছিফ উদ্দিন রাখী। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে বেলুন ওড়ানো হয়। গণিত শেখার প্রতি শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘গণিত মানুষকে যুক্তিবাদী করে। যুক্তিবাদী মানুষ কখনো অন্যায় বা বিপথে পরিচালিত হতে পারে না। গণিত মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক করে। গণিত নিয়ে ব্যতিক্রমী উদ্যোগের জন্য প্রথম আলোকে সাধুবাদ জানাই। শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। আগামী দিনে তারাই দেশের নেতৃত্বে দেবে। গণিত নিয়ে এমন উৎসব শিশুদের গণিত ও বিজ্ঞানমনস্ক করে তুলবে। তাদের সৃজনশীল মেধা বিকাশ ও উৎসাহ প্রদানে এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব হবে।’ পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, শিক্ষার্থীদের ভেতরে একধরনের গণিতভীতি রয়েছে। এই ভীতি দূর করতে এ ধরনের আয়োজন বেশি বেশি করতে হবে। তাহলে একদিকে শিশুদের গণিতভীতি দূর হবে, অন্যদিকে তারা বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে উঠবে। বিজ্ঞান মানুষকে কুসংস্কারাচ্ছন্ন থেকে মুক্তি দেয়। তাই গণিত উৎসবের বিকল্প নেই। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর বাগেরহাট, খুলনা, পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৯০০ শিক্ষার্থী সোয়া এক ঘণ্টার মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় উৎসব আয়োজনে যুক্ত রয়েছে গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। উৎসব আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করছেন প্রথম আলোর বন্ধুসভার বন্ধুরা।

No comments

Powered by Blogger.