বব মারলের নামে মাকড়সা

বিশ্বখ্যাত সংগীত ব্যক্তিত্ব জ্যামাইকার বব মারলে গানে গানে বয়ান করে গেছেন কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর শোষণ-নিপীড়নের কথা। বিজ্ঞানীরা এবার এই মানুষটার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে মাকড়সার নতুন একটি প্রজাতির নাম দিয়েছেন, দেসিস ববমারলেই। অস্ট্রেলিয়ার উপকূল ঘেঁষে প্রবালপ্রাচীর গ্রেট ব্যারিয়ার রিফে নতুন প্রজাতির এই জলজ মাকড়সার সন্ধান পাওয়া গেছে। এই প্রজাতির নারী ও পুরুষ মাকড়সার বিবরণ প্রকাশ করেছে জীববিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী এভল্যুশনারি সিসটেমেটিকস। দেসিস ববমারলেই সামুদ্রিক মাকড়সারই একটি প্রজাতি। তবে এই প্রজাতির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এরা ডুবন্ত অবস্থায়ও বেঁচে থাকতে পারে। বব মারলের ‘হাই টাইড অর লো টাইড’ গান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মাকড়সাটির নামকরণ করেছেন বিজ্ঞানীরা। জোয়ারের সময় এই মাকড়সাগুলো নিজেদের আবাসে একধরনের সিল্ক প্রকোষ্ঠ তৈরি করে। এতে আবাসে পানি ঢুকতে পারে না। একই সঙ্গে এগুলো বাতাসপূর্ণ থাকে। ফলে শ্বাসপ্রশ্বাসে কোনো সমস্যা হয় না।
আবার ভাটার সময় আবাস থেকে বেরিয়ে এরা উপকূলে ছোট ছোট প্রাণী শিকার করে বেড়ায়। তবে মাকড়সার নতুন এই প্রজাতি কেবল এ কারণেই বব মারলের নাম পায়নি। গবেষণা নিবন্ধটির সহলেখক কুইন্সল্যান্ড জাদুঘরের মাকড়সা বিশেষজ্ঞ বারবারা বায়ের বলেন, ‘বব মারলের “হাই টাইড অর লো টাইড” গানটি জীবনসংগ্রামের মধ্য দিয়ে ভালোবাসা আর বন্ধুত্বের বার্তা দেয়।’ দেসিস ববমারলেই প্রজাতির মাকড়সাগুলো প্রতিনিয়ত জীবনসংগ্রামে রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রাচীনতম জাদুঘর অস্ট্রেলিয়ান মিউজিয়ামের মাইক গ্রের কথাতেও দেসিস ববমারলেই প্রজাতির জীবনসংগ্রামের বিষয়টি উঠে এসেছে। এক ব্লগপোস্টে তিনি লিখেছেন, সিডনি বন্দর এলাকার অধিবাসীদের কাছে একসময় এই সামুদ্রিক মাকড়সাগুলো খুবই পরিচিত ছিল। কিন্তু দিনে দিনে এদের সংখ্যা এতটাই কমে এসেছে যে এখন বিলুপ্তপ্রায়। সিডনি বন্দরের মানুষদের কাছে এখন এ ধরনের মাকড়সা অপরিচিতই বলা চলে।

No comments

Powered by Blogger.