সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেয়ার অঙ্গীকার মোদির

প্রচলিত প্রথা ভেঙে নয়াদিল্লির পালাম বিমান ঘাঁটিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উষ্ণ অভ্যর্থনা গ্রহণের মধ্য দিয়ে অন্যরকম এক সফর শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্ধারিত কর্মসূচি মোতাবেক, শুক্রবার শেখ হাসিনাকে ভারতের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র স্বাগত জানানোর কথা ছিল। শেষ অবধি মোদি নিজেই বিমান ঘাঁটিতে হাজির হয়ে সবাইকে চমকে দেন। বিরল সম্মানে শেখ হাসিনাকে বরণ করেন। ভারতের স্বাভাবিক রাষ্ট্রাচারকে ছাপিয়ে গিয়ে আন্তরিকতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। ভারতের ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস জানিয়েছে, এর আগে কেবল যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদকে স্বাগত জানাতে মোদিকে বিমানবন্দরে যেতে দেখা গেছে। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লালগালিচা সংবর্ধনা জানানোর পর শেখ হাসিনার হাতে ফুল দেয়ার ছবি টুইট করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আমি অঙ্গীকারবদ্ধ।’
পরে আরেক টুইট বার্তায় মোদি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে পেরে তিনি আনন্দিত। জানতে চাইলে দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনে নিযুক্ত প্রেস মিনিস্টার ফরিদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে বিমান ঘাঁটিতে এসে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন, এটা আগে কেউই জানত না। সম্পূর্ণ সারপ্রাইস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি পৌঁছার ১০ মিনিট আগে মোদি গিয়ে বিমান ঘাঁটিতে হাজির হন। বাংলাদেশের কোনো সরকারপ্রধানকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিমানবন্দরে স্বাগত জানানোর ঘটনা এটাই প্রথম।’ শেখ হাসিনার এই সফরকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ অভিহিত করে বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বাভাবিক কূটনৈতিক সফর ছাপিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে দুই নেতার ভবিষ্যৎ নির্দেশনামূলক গুরুত্বের সফর বলে মনে হচ্ছে। বিমান ঘাঁটি আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারপর বিকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি তিনি চাণক্যপুরীতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে কাটান। সেখানে সংবর্ধনা আর রাতে বাংলাদেশ হাউসে নৈশভোজে অংশ নেন শেখ হাসিনা। এদিকে দিল্লির রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন হায়দরাবাদ হাউসের দিকেই এখন সবার দৃষ্টি। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের এক ঐতিহাসিক ক্ষণে আজ শনিবার এখানেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। উভয় দেশের জনগণের মৈত্রীর বন্ধনের রোডম্যাপ নির্ধারণ করবেন দুই নেতা। আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে দীর্ঘ একান্ত আলোচনা নিয়েই কৌতূহল বেশি। কেননা আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য সময় বরাদ্দ আছে ৩০ মিনিট। আর শেখ হাসিনা ও মোদির একান্ত বৈঠকের সময়ও ৩০ মিনিট। ফলে সহযোগিতার পথনির্দেশনা আসবে দুই নেতার উদ্ভাবনী শক্তি থেকে। যদিও ভারতের আমলারা আগেভাগেই বলে দিয়েছেন, এবারই তিস্তা চুক্তি সই করার চমক থাকছে না। ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীও এ কথা মানেন। তবে তিনি বলেছেন, তিস্তার ব্যাপারে এবার অবশ্যই সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে হবে। আর এই সময় কোনোভাবেই এক বছরের বেশি হলে চলবে না। দিল্লির বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, মোদির কর্মকাণ্ডে জনগণের আস্থা বাড়ছে। সংকট সমাধানে তার আন্তরিকতা, উদ্ভাবনী শক্তি ও সামর্থ্য অনেক বেশি।
ফলে তিস্তা নিয়ে জট খুলতে মোদির ওপর আস্থা রাখতে বলছেন এখানকার বেশির ভাগ মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির দিল্লি আগমনের সংবাদে সেই আস্থা আরও বাড়ছে। মমতা এখানে ভারতের রাজনীতির অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, রাজনীতিতে ম্যাজিক সমাধানে পারদর্শী নরেন্দ্র মোদি আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মমতার খোলামেলা আলোচনায় একটা পথ বেরোবেই। আর রাজনীতির পর্যায় থেকে দিকনির্দেশনা পেলে তিস্তা চুক্তির আমলাতান্ত্রিক বাস্তবায়নে খুব একটা বেগ পেতে হবে না। মমতাকে তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে রাজি করাতে মোদি কি সমর্থ হবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে দিল্লির সাংবাদিক স্মিতা শর্মা বলেন, ‘মোদি ও মমতার মধ্যে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে একটা ঝড়ো সম্পর্ক চলছে। তবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জন্য বড় বাজেটের প্যাকেজ দিলে বরফ গলতেও পারে।’ এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি তিনি। এদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে দিল্লি খুবই উচ্ছ্বসিত। ভারতের বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে যে রূপরেখা দুই দেশের মধ্যে হচ্ছে তা এই সফরের বড় প্রাপ্তি। পাশাপাশি ভারত থেকে বাংলাদেশে সমরাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির পথও খুলবে ৫০ কোটি ডলারের ঋণ (লাইন ক্রেডিট-এলওসি) ঘোষণার মাধ্যমে। তার চেয়েও বড় কথা হল, দুই দেশের মধ্যে সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে নতুন মাত্রা যুক্ত হতে পারে। ভারতীয় বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। কেননা বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে দেশটির সামরিক বাহিনী এবং সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করে থাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকের পর প্রতিরক্ষা খাতে দুটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে দিল্লির কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। তার একটি হল- আগামীতে দ্বিপক্ষীয় সামরিক সহযোগিতার গতিপথ নির্ধারণে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার এমওইউ এবং অপরটি হল বাংলাদেশে সমরাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির লক্ষ্যে ৫০ কোটি ডলারের এমওইউ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিরক্ষা সহযোগিতার আওতায় প্রতিরক্ষা শিল্পে যৌথ ম্যানুফ্যাকচারিং ও প্রডাকশনের পথ খুলতে পারে। এভাবে সামরিক সরঞ্জাম ও সমরাস্ত্র বিক্রির মতো ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিস্তার ঘটতে পারে। সমুদ্র অবকাঠামো নির্মাণ খাতেও ভারত প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় অগ্রসর হবে।
এতে জলদস্যু দমন এবং সমন্বিত টহলের মতো বিভিন্ন দিক রয়েছে। মহাকাশ গবেষণা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, যৌথ মহড়া, তথ্য বিনিময়, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন উপায়েও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নতুন মাত্রা পাবে। ভারতের বিশ্লেষকরা বলেন, স্থলসীমান্ত চুক্তি এবং সমুদ্রসীমা নির্ধারণ হয়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা হুমকি দূর হয়েছে। ফলে প্রতিরক্ষা সহায়তার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। যদিও এই খাতে চীনের সঙ্গে পাল্লা দিতে চায় না ভারত। দিল্লির বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের সামরিক সরঞ্জাম ও সমরাস্ত্রের ৮০ ভাগের বেশি চীন থেকে আসে। ভারতের পক্ষে এতটা করা মোটেও সম্ভব নয়। তবে ঢাকা-দিল্লি প্রতিরক্ষা সহায়তা আগামীতে আরও জোরদার হবে। এই সফরে বাংলাদেশের জন্য বড় ‘সারপ্রাইজ’ হল, দিল্লির প্রাণকেন্দ্র পার্ক স্ট্রিটকে বঙ্গবন্ধু সড়ক ঘোষণা। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ভারত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে এই রাস্তার উদ্বোধন করবেন। এছাড়া বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ভারত তৃতীয় এলওসি হিসাবে পাঁচশ’ কোটি ডলার ঋণের ঘোষণা দিতে পারে। এদিকে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ‘হাই স্পিড ডিজেল’ সরবরাহ উদ্বোধন হচ্ছে আজ। উদ্বোধনী চালানে দুই হাজার দু’শ টন ডিজেল যাচ্ছে বাংলাদেশে। জ্বালানি ও প্রাকৃতিক গ্যাসমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সাংবাদিকদের এ কথা জানান। ভারত ডিজেল সরবরাহের জন্য পাইপলাইন তৈরির একটি প্রকল্পও আজ ঘোষণা করতে যাচ্ছে। প্রকল্পটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামের নোমালী গড় থেকে রেলপথে এই ডিজেল সরবরাহ দেয়া হবে। ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। পারস্পরিক আস্থার ভিত্তিতে আমাদের সম্পর্ক পারস্পরিক সম্পৃক্ততার ভিত্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে।’ তিস্তা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তিস্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু কিন্তু ভারতের নিয়মে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সমস্যার সমাধানের বিষয় রয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সফরের দ্বিতীয় দিনে শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও উপস্থিত থাকবেন। তারপর শেখ হাসিনা রাজঘাটে অবস্থিত গান্ধী স্মৃতিসৌধে যাবেন। সেখানে পরিদর্শন বইয়ে সই করবেন। তারপর হায়দরাবাদ হাউসে প্রথমেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসবেন। তারপর শুরু হবে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এবার প্রতিনিধি দলে সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর হায়দরাবাদ হাউসেই দু’দেশের মধ্যে বিভিন্ন চুক্তি, সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও দলিল সই হবে। তারপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথ বিবৃতি দেবেন। সেখানেই সংক্ষিপ্ত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের হিন্দি অনুবাদ হস্তান্তর করা হবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বইটির হিন্দি অনুবাদ করা হয়। এই অনুষ্ঠানের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনাকে মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়িত করবেন। একই দিনে বিকাল সাড়ে তিনটায় মানেকশ সেন্টারে সম্মাননা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। মুক্তিযুদ্ধে যেসব ভারতীয় সৈন্য প্রাণ হারিয়েছেন তাদের সম্মাননা জানাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধে ১৬৬১ জন ভারতীয় সৈন্য প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে সাতজনের পরিবারকে এ সম্মাননা তুলে দেবেন শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধে আত্মাহুতি দানকারী অবশিষ্ট ভারতীয় সৈন্যদের পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে সম্মাননা দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের সফরে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারীর সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এছাড়া হোটেল তাজ প্যালেসে বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন শেখ হাসিনা। এছাড়া ভারত-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেবে। প্রধানমন্ত্রী আজমির শরিফে গিয়ে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির (রহ.) মাজার জিয়ারত করবেন। আগামী সোমবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে শুক্রবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে (ভারতীয় সময়) ৪ দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে দিল্লি পৌঁছেছেন। এর আগে নয়াদিল্লির উদ্দেশে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ এএসএম ফিরোজ, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনৈতিক কোরের ডিন এবং বেসামরিক ও সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

No comments

Powered by Blogger.