২০টি নিউক্লিয়ার মিসাইল নিয়ে ন্যাটোর ‘সুইমিংপুলে’ নজর রুশ সাবমেরিনের

ঠান্ডা লড়াই শেষ হলেও, থামেনি আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে আধিপত্যের সংঘাত। সম্প্রতি, সিরিয়ায় আসাদ সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলা ভীষণ গৃহযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে না হলেও, বকলমে লড়ছে পরমাণু অস্ত্রে বলিয়ান ওই দুই মহাশক্তি। এমনই পরিস্থিতিতে পারদ চড়িয়ে বাল্টিক সাগরে সাবমেরিন পাঠাচ্ছে রাশিয়া। তবে এই সাবমেরিন আর পাঁচটি রণতরী থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই চরম উদ্বেগে আমেরিকাসহ ন্যাটো দেশগুলো। এক আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, ‘টাইফুন ক্লাস’ অন্তর্ভুক্ত পরমাণু শক্তি চালিত এই সাবমেরিনটির নাম দিমিত্রি দনস্কোয়। প্রায় ২০টি ব্যালিস্টিক নিউক্লিয়ার মিসাইল ও ২০০টি অস্ত্র নিয়ে ব্যারেন সাগর থেকে রওনা দিয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই সাবমেরিনটি। সূত্রের খবর, রাশিয়ার ব্যারেন সাগর থেকে রওনা হয়ে নরওয়ে ও ডেনমার্কের আশপাশে নজরদারি চালাবে ‘দনস্কোয়’। ওই এলাকায় মোতায়েন রয়েছে আমেরিকা ও ন্যাটো দেশগুলির রনতরী।
তাই রাশিয়ার আধিকারিকরা ওই জায়গার নাম দিয়েছেন ন্যাটোর ‘সুইমিংপুল’। ঠান্ডা লড়াইয়ের আমলে নির্মিত ৫৭৪ ফুট লম্বা এই সাবমেরিনে প্রায় ১৬০ জন লোকের জায়গা আছে। রয়েছে ৫০০০ মাইল পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম ২০ টি নিউক্লিয়ার মিসাইল, টরপেডো ও ক্রুজ মিসাইল। লাগাতার ১২০ দিন জলের তলায় ডুব দিয়ে থাকতে পারে এই সাবমেরিন। ১৯৮০ সালে সোভিয়েত সেনা প্রায় ছ’টি টাইফুন ক্লাস সাবমেরিন বানায়। তার মধ্যে এই মুহূর্তে কার্যক্ষম রয়েছে ‘দনস্কোয়’। উদ্দেশ্য ছিল আমেরিকার ‘ওহিও’ ক্লাস সাবমেরিনগুলিকে প্রতিহত করা। আমেরিকার ওই সাবমেরিনগুলি ১৯২টি অস্ত্র বহনে সক্ষম। সম্প্রতি, সিরিয়া নিয়ে রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে। গতকাল আসাদ বাহিনীর উপর আমেরিকার মিসাইল হানার তীব্র নিন্দা করেছে রাশিয়া।

No comments

Powered by Blogger.