গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বরখাস্ত হচ্ছেন গণপ্রতিনিধিরা!

গোটা পৃথিবীতে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা অনেকটাই স্বাধীন। তাদের রয়েছে নিজস্ব পরিষদ, প্রশাসন এবং উন্নয়ন পরিকল্পনা। সেজন্য তাদের বলা হয় ‘সরকারের ভেতর সরকার’ (government inside government)। পৌরসভা হল শহরাঞ্চলে স্থানীয় নাগরিকদের আইনানুগ প্রতিভূ। এটি যথার্থ নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কাঠামোধীনে অধিবাসীদের প্রতিনিধিত্ব করে এবং তাদের কাছে দায়ী থাকে। আধুনিক শহরগুলোতে পৌরসভার মেয়রের ওপর প্রভূত দায়িত্ব অর্পিত থাকে। বড় বড় শহরে নগরপ্রধানদের উপাধি ‘গভর্নর’। আমাদের দেশে ছোট-বড় সব নগরপিতাকে ‘মেয়র’ নামেই ডাকা হয়। সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদে স্থানীয় শাসন নিশ্চিত করা হয়েছে। ৬০ অনুচ্ছেদে স্থানীয় শাসনসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানকে যথার্থভাবে ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। স্থানীয় শাসনব্যবস্থা সংবিধান ও সরকারের ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করে। এটি স্থানীয় রাজনীতি, অর্থনীতি, উন্নয়ন ও সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটায়। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে স্বকীয়তা ও স্বাতন্ত্র্য রক্ষার প্রয়োজনে স্থানীয় সরকার আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য বজায় রাখে। ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই স্থানীয় সরকারব্যবস্থা দলনিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। আকস্মিকভাবে বর্তমান সরকার স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনব্যবস্থা ‘দলীয় পরিচয়ে’ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। ২ এপ্রিল তিন মেয়রকে একযোগে ফের বরখাস্ত করার ঘটনা ওই দলীয়করণ মানসিকতাদুষ্ট একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিগত সাড়ে তিন বছরে বরখাস্তকৃত স্থানীয় সরকার প্রতিনিধির সংখ্যা ৩৭৫। গত সপ্তাহেই রাজশাহী, সিলেট ও মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে একডজন প্রতিনিধি বরখাস্ত হয়েছেন।
এর আগে অপসারিত হয়েছিলেন গাজীপুর ও খুলনার মেয়ররা। আরও শতাধিক বরখাস্ত হওয়ার আতংকে দিন গুনছেন। প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তারা শত শত মামলা মাথায় নিয়ে ঘুরছেন। তাদের প্রায় সবাই সরকারবিরোধী শিবিরের লোক। অথচ আওয়ামী লীগের পাঁচজন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে বাস্তব অভিযোগ দায়ের হলেও তারা কখনও অপসারিত হননি। রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করা এবং তৃণমূল পর্যায় সরকারবিরোধিতা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্যই এ ব্যবস্থা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে স্থানীয় সরকারব্যবস্থা দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। অথচ এ ব্যবস্থা আরও জোরদার ও কার্যকর করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। স্থানীয় সরকারব্যবস্থা দুর্বল হওয়ার ফলে দেশে গণতন্ত্রের যে অবশিষ্টটুকু বহাল আছে তা-ও বিনষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং হবিগঞ্জের মেয়র জিকে গউছকে দ্বিতীয় দফায় সরকার বরখাস্ত করেছিল। উচ্চ আদালতের আদেশে মেয়রের দায়িত্ব নেয়ার অল্প সময়ের মধ্যে আবার তাদের বরখাস্ত করা হয়। সরকারের দায়ের করা অনেক মামলা-মোকদ্দমা মোকাবেলা করে কারা নির্যাতন অবশেষে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের আদেশ নিয়ে এরা দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। ২ বছর পর সেদিন ২ ঘণ্টার জন্য মেয়রের চেয়ারে বসেছিলেন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। দ্বিতীয় দফায় সাময়িক বরখাস্তের চিঠি পেয়েই চেয়ার ছেড়ে চলে যান তিনি। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলার অভিযোগে তাকে দ্বিতীয়বার বরখাস্ত করা হয়। অপরদিকে রাজশাহীর ঘটনা একটু ভিন্ন ধরনের। আইনগত সব বাধা অতিক্রম করে রাজশাহীর মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল দায়িত্ব গ্রহণের জন্য তার কার্যালয়ে গেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাদ সাধে। সহিংসতার পর পুলিশ ডেকে তালা ভেঙে চেয়ারে বসেন বুলবুল। মাত্র ৮ মিনিট পর মন্ত্রণালয় থেকে ফ্যাক্সে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
পুরনো ফৌজদারি মামলায় অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। একই ঘটনা ঘটে হবিগঞ্জের মেয়র জিকে গউছের ক্ষেত্রে। আরিফুল হক চৌধুরীর মতো তাকেও একই অভিযোগে (সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলা) দ্বিতীয়বার বরখাস্ত করা হয়। এর আগে গত বছরের মার্চে কিবরিয়া হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তাকে প্রথমবার বরখাস্ত করা হয়। দায়িত্ব ফিরে পাওয়ার ১১ দিনের মাথায় জিকে গউছ আবার বরখাস্ত হয়েছিলেন। বরখাস্তকৃত তিন মেয়রই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা। তারা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিভিন্ন সময় নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ ধরনের ঘটনা পাকিস্তান আমলের স্বৈরশাসকদের আচরণের কথা মনে করিয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধু সে সময় অনেকবার মামলা থেকে খালাস পেয়েও জেলগেটে গ্রেফতার হয়েছেন। যেখানেই আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ব ছিল, স্বৈরশাসকরা বারবার সেখানে নিপীড়নের পথ বেছে নিয়েছিল। সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, উল্লেখিত তিন মেয়রকেই দ্বিতীয় দফা সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এভাবে প্রচ্ছন্ন বিরোধে জড়িয়ে পড়ছে দেশের নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ। উল্লেখ্য, ভোটারদের রায়কে যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে সে রকম একটা রায় আপিল বিভাগে রয়েছে। রাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন দল বা সরকার যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার না করে স্থানীয় শাসনে ভোটারদের প্রত্যাশাকে নাকচ করার একচেটিয়া সুযোগ না পায় সেজন্য ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার স্থানীয় সরকার আইনে সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছিল। পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে এ ধারাগুলো বাদ দিয়ে নতুন করে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাবিষয়ক আইন প্রণয়ন করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ভিন্ন ভিন্ন প্রজ্ঞাপনে বিভিন্ন স্বাক্ষরে কিন্তু একই ভাষায় লেখা চিঠি দেয়া হয় এসব মেয়রকে। চিঠিগুলোতে সিটি কর্পোরেশন আইন-২০০৯-এর ১২(১) উপধারার উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ্য, এ ধারায় সিটি কর্পোরেশন মেয়রের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় অভিযোগপত্র আদালত কর্তৃক গৃহীত হলে সরকার কর্তৃক লিখিত আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে বরখাস্তকরণের বিধান রয়েছে।
সংক্ষুব্ধ মেয়ররা প্রায় একই ভাষায় এর প্রতিবাদ জানান। তারা একে ‘উচ্চ আদালত ও গণতন্ত্রের প্রতি অবমাননাকর ও ষড়যন্ত্রমূলক’ বলে অভিহিত করেন। এভাবে প্রাথমিক স্তরের তিন জনপ্রতিনিধিকে আকস্মিক ও আপত্তিকরভাবে বরখাস্ত করায় নাগরিক সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে বরখাস্তের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়নমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘বেআইনিভাবে কাউকে বরখাস্ত করা হয়নি। আইন মেনেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়নি। সরকার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।’ অন্যদিকে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে আইন প্রয়োগের কৌশল ও ধরন হয়েছে নাটকীয়তার মাধ্যমে। এটি কাকতালীয় নয়। মনে হচ্ছে পরিকল্পিত।’ সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন একে ‘প্রতিহিংসামূলক’ বলে পত্রিকান্তরে মন্তব্য করেছেন। সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিত্ব বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন, ‘নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের এভাবে বরখাস্ত করা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য শুভ হবে না। গণতন্ত্রের পথে এটি একটি খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’ দৃশ্যত বিষয়টি সরকারের অবিবেচনাপ্রসূত, অসহিষ্ণু ও অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে। তারা আরও মনে করেন, বিষয়টি নিয়ে সরকারি পদক্ষেপে কুশলতার অভাব প্রমাণিত হয়েছে। একটি রাজনৈতিক সরকার রাজনৈতিক উপায় ও কৌশলে কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক। দলীয় কেন্দ্রিকতায় বিশ্বাসী সরকার বুদ্ধিমান হলে ব্যবস্থাটি ২-৪ সপ্তাহ পর নিলেও তাদের লোকসান হতো না। দেশে যখন ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন আইপিইউয়ের সম্মেলন চলছিল, তখন এ ধরনের সিদ্ধান্ত অতিথিদের নেতিবাচক বার্তাই দিয়েছে। রাজনৈতিক দূরদর্শী মহল আরও মনে করে, এটি সর্বোচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত না-ও হতে পারে। রাজনীতিকের পরিবর্তে আমলারা যখন অতি উৎসাহী হয়ে উঠছেন তখন এ ধরনের ঘটনা অসম্ভব নয়। আমলারা ক্ষমতা নিয়ে ভাবেন আর রাজনীতিকরা পদলোভী হয়ে থাকেন। স্থানীয় পর্যায়ে যেভাবে ভোটবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে তাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও ষড়যন্ত্র অস্বাভাবিক নয়। স্থানীয় বিষয়াদি স্থানীয়ভাবে মোকাবেলা করাই শ্রেয়। ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌর কর্পোরেশনের নেতৃত্ব স্থানীয় পর্যায়েই নির্ধারিত হওয়া উচিত। যদি তা দলীয়ভাবে করতেই হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট দলীয় নেতাকর্মীদের ওপরই সিদ্ধান্তের ভার দেয়া উচিত। আর সবারই জানা, রাজনৈতিক নেতৃত্বের শুরুটা তৃণমূল পর্যায় থেকে আরম্ভ হয়। একজন কর্মী নেতা হয়ে অবশেষে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন তার ত্যাগ-তিতিক্ষা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। দুর্ভাগ্যজনক, আমাদের দেশে কম-বেশি সব দলের ক্ষেত্রেই এ কথা সত্য যে, তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক. মাস্তান, খ. কালো টাকা এবং গ. আমলানির্ভর হয়ে ওঠেন। বরখাস্ত করার ক্ষেত্রে এসব প্রবণতা যে কাজ করেনি তা হলফ করে বলা যাবে না। ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় যাই হোক, স্থানীয়ভাবেই তার শেষ হওয়া উচিত। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যদি স্থানীয় পর্যায়ে জনকল্যাণের উদাহরণ সৃষ্টি করতে চায়, তাহলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিত্বের বিষয়টি গভীরভাবে ভাবার দাবি রাখে। নিরঙ্কুশ নিরপেক্ষতার সঙ্গে যদি নির্বাচন পরিচালনা করা যায়, তাহলে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে। জাতির জন্য আশঙ্কার বিষয় হল গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ।
গণতন্ত্র বিকশিত হয় স্থানীয় পর্যায় থেকে। গণতন্ত্র নাগরিকদের সংযমী, সহিষ্ণু ও সহনশীল করে গড়ে তোলে। জাতীয় পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত প্রায় সর্বত্র আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব সমাসীন রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভাগুলোর কোথাও কোথাও ছিটেফোঁটা বিরোধীদের অস্তিত্ব রয়েছে। এতটুকু সহ্য করতেও কি ক্ষমতাসীনরা অপারগ? স্থানীয় শাসন পর্যায়ে ব্যাপক পরাজয় ঘটলেও ক্ষমতার রদবদল হবে না। সুতরাং তৃণমূল পর্যায়ে যে সামান্য বিরোধী অবস্থান রয়েছে তা অব্যাহত না থাকলে স্বৈরতন্ত্রের আবির্ভাব ঘটবে। সামাজিক শক্তি ও সম্প্রীতি বিনষ্ট হবে। মাঝখান থেকে ‘মাস্তান সংস্কৃতির’ (parochial culture) আবির্ভাব ঘটবে যা কারও কাম্য নয়। সমাজে থাকতে হবে ‘যত মত তত পথ’। ‘শত ফুল ফুটতে’ দিতে হবে। প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে এ ধরনের বরখাস্ত আদেশ সরকারের জনপ্রিয়তায় ধস নামাতে পারে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জনপ্রতিনিধি বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে সরকারের ‘একটি বড় ধরনের রাজনৈতিক ভুল’ বলে মন্তব্য করেছেন। ভবিষ্যতে জাতীয় নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে। সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেছেন, ‘সংশ্লিষ্ট আইনের ধারাগুলো সরকার খড়গ হিসেবে ব্যবহার করছে।’ বরেণ্য কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ‘কাণ্ডারিকে হুশিয়ার’ হতে বলেছেন। তিনি লিখেছেন- ‘বর্তমান সময়ে আওয়ামী লীগের নৌকা দুলছে না, জল ফুলছে না কিংবা আওয়ামী লীগ নেত্রীও পথ হারাননি। তথাপি কেমন একটা রুদ্ধ-স্তব্ধতা আমাদের রাজনীতিকে জড়িয়ে ধরেছে। সাবধানীরা শঙ্কা প্রকাশ করছেন- এত রুদ্ধ-স্তব্ধতা তাদের ভালো মনে হচ্ছে না। এটা কি প্রকৃত শান্তি না ঝড়ের আগের পূর্বাভাস? দেশে কি কোনো আকস্মিক ঝড় উঠতে পারে?’
জনাব চৌধুরীর আশঙ্কার সঙ্গে হয়তো সুশীলসমাজ একমত হবে।
আবদুল লতিফ মাসুম : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
mal55ju@yahoo.com

No comments

Powered by Blogger.