রংপুরে স্কুলছাত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

রংপুরের বদরগঞ্জে ড়ালেখার খরচ জোগাতে হোটেলে কাজ নিয়ে টাকা দাবী করায় মালিক নির্মমভাবে গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র আকরাম হোসেন (১৪) কে। পুলিশ শনিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে। বদরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আখতারুজজ্জামান জানান, তারাগঞ্জ উপজেলার চিলাপাক মাটিয়ালপাড়া গ্রামের আশরাফ আলীর পুত্র চিলাপাক হাইস্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র আকরাম হোসেন পড়ালেখার খরচের জন্য স্কুল শেষে উপজেলার সীমান্তঘেষা পার্শ্ববতী বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের শেখেরহাটের সোলেমান আলী ওরফে সলের হোটেলে শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করে। শুক্রবার আকরাম তার মালিকের কাছে ৭ দিন কাজ বাবদ দৈনিক ৩০ টাকা মজুরী হিসেবে একহাজার ২০ টাকা দাবি করে। এসময় হোটেলের মালিক আকরামকে পরে টাকা দিতে চাইলে সে অনুরোধ করে টাকা দেয়ার জন্য। যাতে সে খাতা কলম ও বই কিনতে পারে। কিন্তু মালিক তার কথায় কান না দিয়ে আকরামকে বেধড়ক পেটাতে থাকে।
এক পর্যায়ে তার গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। শনিবার ভোরে হোটেল মালিক লাশটি গুম করার জন্য বাইরে নেয়ার চেষ্টা করলে লোকজন দেখে ফেলে পুলিশে খবর দেয়। ওসি জানান, ঘটনাটি জানার পর পুলিশ গিয়ে মেঝেতে পড়ে থাকা গলায় রশি পেচানো অবস্থায় শিশুটির লাশ উদ্ধার করে এবং রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। তিনি জানান, শিশুটির শরীরের বিভিন্নস্থানে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় পিতা বাদি আশরাফ হোসেন বাদি হয়ে হোটেল মালিকসহ ৪ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আশরাফ হোসেন জানান, অভাবের সংসারে পড়ালেখা চালিয়ে নেয়ার জন্য সে হোটেলে টেবিল বয়ের কাজ নিলো। আর মালিক টাকা না দিয়ে তাকে গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করলো। এটা কেমন বিচার। তিনি হত্যাকারীর গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.