কানে হেডফোন, ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন দেহ

রাজশাহীতে ট্রেনে কাটা পড়ে আরিফ আরমান সজীব (২১) নামে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত সজীব ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সজীবের বাড়ি রাজশাহী নগরের তেরখাদিয়া এলাকায়। বাবা মাহবুবুর রহমান প্রকৌশলী। তাঁদের গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহী নগরের কাদিরগঞ্জ গ্রেটার রোড মসজিদ রেলগেট এলাকায় আজ বুধবার রাত আটটার দিকে রেললাইনে সজীব কানে হেডফোন লাগিয়ে মোবাইলে কথা বলছিলেন। এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহীগামী একটি ট্রেন এলেও সজীব লক্ষ করেননি। অদূরে থাকা কয়েকজন তাঁকে সরে দাঁড়াতে বললেও তিনি শুনতে পাননি। এর মধ্যে ট্রেন ধাক্কা দেয় তাঁকে।
এ সময় ট্রেনের সঙ্গে আটকে গিয়ে তাঁর দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। সজীবের মামা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সজীবের বাবা মাহবুবুর রহমান সিলেট পল্লী বিদ্যুতে চাকরি করেন। মা নার্গিস ফেরদৌসী ১৫ দিন ধরে সেখানেই আছেন। সজীবদের তেরখাদিয়া এলাকায় বাড়িটির নির্মাণের কাজ চলছে। সে জন্য তাঁরা কাদিরগঞ্জ গ্রেটার রোড মসজিদ রেললাইনের পাশে একটি বাড়ি ভাড়া নেন। সেখানে তাঁরা কয়েক মাস ধরে আছেন। তিনি আরও জানান, রেললাইনের পাশে একটি দোকানে তেরখাদিয়ায় নির্মিত বাড়ির লোহার গ্রিল বানানোর জন্য সজীব টাকা দিয়ে লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। রাজশাহী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর হোসেন জানান, খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

No comments

Powered by Blogger.