শিবালয়ে ২০ হাজার একর জমিতে জলাবদ্ধতা ফসলহানির আশংকা

সেচ ও বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার কারনে শিবালয় উপজেলার ১০টি মৌজার অন্তত ২০ হাজার একর জমিতে আবাদকৃত অধিকাংশ বোরো ধান তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকরা ফসলহানি ও বিপুল আর্থিক ক্ষতির আশংকা করছে। জানা গেছে, চলতি বোরো মওসুমে শিবালয়ের জাফরগঞ্জ, গোয়াড়িয়া, মিরপুর, মালুচি, শুকনাই, ষাইটঘর, বাশাঈল, জমদুয়ারা, তেঁতুলিয়া, সমেশঘর, নিহালপুর, কৃষ্ণপুর, উথলী, বেলতাসহ বিভিন্ন চকে বোরো ধান আবাদ করা হয়। কয়েক দফা প্রবল বৃষ্টি ও সেচকৃত পানিতে এ সকল চকের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়। বিশেষ করে বোরো প্রকল্পে ব্যবহৃত সেচ যন্ত্রের সাহায্যে তোলা পানি উপচে পড়ে বিভিন্ন খাল, ডোবা-নালা দিয়ে নি¤œাঞ্চলে প্রবাহিত হয়। বিপুল পরিমান উদ্বৃত পানি সহজে নদী বা খালে প্রবাহিত হতে না পারায় নিচু জমির ধান ক্ষেত ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ সকল চকের পানি দক্ষিন দিকে গড়িয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উথলী ইন্টারসেকশন সচিব মোড় হয়ে পূর্ব দিকে ইছামতি নদীতে যেতে বাঁধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। ভূক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, এ মহাসড়কের নাভানা সাইনবোর্ডের নিকট থেকে পূর্বদিকে অন্তত এক কিলোমিটার খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় সহজে পানি ইছামতি নদীতে যেতে পারছে না।
তা সত্বেও একশ্রেণির মাটি ব্যবসায়ীরা ‘হাবির বাসা’ নামক স্থানে খালে আঁড়াআড়িভাবে বাঁধ দেয়ায় পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়েছে। এরফলে, বোয়ালী, আনুলিয়া, আড়পারা, কাশাদহ, দুবুলিয়াডাঙ্গা,চর-ফরিদপুরসহ বিভিন্ন চকে অনুরুপ জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। প্রত্যহ ডুবে যাওয়া ক্ষেতের পরিমান ক্রমশ: বৃদ্ধি পাচ্ছে। তেওতা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদের ইত্তেফাককে জানান, উথলী মোড় হতে পূর্ব-পশ্চিম দিকে প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ খালে অন্তত ৪ থেকে ৬ ফুট গভীরতায় সরু খাল খনন করলে এ সমস্যা দুর হওয়া সম্ভব। দ্রুত পানি প্রবাহের ব্যবস্থা না করলে কৃষকের হাত মাথায় উঠবে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। শিবালয় ইউএনও কামাল মোহাম্মদ রাশেদ জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শনপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

No comments

Powered by Blogger.