জিএসপি সুবিধা অব্যাহত রাখতে হলে শর্ত পুরো বাস্তবায়ন করতে হবে -ইইউ প্রতিনিধি দলের ব্রিফিং



গার্মেন্ট শিল্পের সম্প্রতি অগ্রগতির বিষয়টি উল্লেখ করে ঢাকা সফরকারী ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিরা বলেছেন, এ শিল্পের দীর্ঘমেয়াদী অগ্রগতিতে ঘোষিত ‘সাসটেইনেবিলিটি কমপেক্ট’-এর শর্তগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশী পণ্য যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় তা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশকে ওই শর্তগুলো বা কমপেক্ট-এর শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদের দলের প্রধান আর্নে লিট্জ স্পষ্ট করে বলেন, আগামী ১৮ই মে কমপেক্ট’-এর অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে জেনেভায়। এসময়ের মধ্যেই বাংলাদেশকে তার অগ্রগতি দৃশ্যমান করতে হবে। গত ২৭শে মার্চ থেকে ২৯শে মার্চ পর্যন্ত ইউরোপীয় পার্লামেন্টের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরে করে। বুধবার ঢাকাস্থ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন প্রধান কার্যালয়ে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে তারা তাদের সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে দেয়া লিখিত বক্তব্যে প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেন, সম্প্রতি সময়ে গার্মেন্ট শিল্পে বিশেষত ভবন নিরাপত্তা এবং কাজের পরিবেশ উন্নয়নে বাংলাদেশ অনেক অগ্রগতি করেছে। এখাতের অগ্রগতিতে বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার রয়েছে। বিশেষ করে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যে রপ্তানি ক্ষেত্রে যে সুবিধা পায় তারসঙ্গে দু’টি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তা হলো- সার্বজনীন মানবাধিকার এবং শ্রমিকদের অধিকার। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বাংলাদেশের প্রতি এই উল্লিখিত দুুটি বিষয়সহ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাস্তবায়নের কথা রয়েছে। তার অন্যতম হচ্ছে- ইপিজেড’র খসড়া আইন, বাংলাদেশ লেবার ল’কে ইউএন লেবার কনভেনশন মোতাবেক নিয়ে যাওয়া, ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করা এবং ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার প্রতিষ্ঠা বা মুক্তভাবে তাদের করতে দেয়া। প্রধানমন্ত্রী, বাণিজ্য মন্ত্রী, শ্রম প্রতিমন্ত্রীসহ সরকারি-বেসরকারি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় এ বিষয়ে তুলে ধরা হয়েছে জানিয়ে প্রতিনিধিদের দলের প্রধান আর্নে লিট্জ আশা করেন আগামী ১৮ই মে ‘সাসটেইনিবিলিটি কমপেক্ট’-এর যে রিভিউ এবং পরবর্তীতে আইএলও’র যে মধ্য জুনে কনফারেন্স হবে তার আগেই বাংলাদেশ এগুলো বাস্তবায়ন করতে পারবে।

No comments

Powered by Blogger.