চার লাখ টাকায় ভাড়া করা হয় খুনিদের

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের মালিকান্দা গ্রামের ব্যবসায়ী গোলাপ হোসেন পিংকু হত্যার বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। পিংকুকে হত্যা করতে ৪ লাখ টাকায় খুনিদের ভাড়া করা হয়। পূর্বপরিকল্পিত এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছেন মরিয়ম আক্তার নামে একজন নারী। সে ওই গ্রামের আবদুল লতিফ মাস্টারের মেয়ে। জব্দ করা মরিয়মের মোবাইলের মেমোরি কার্ড থেকে এসব তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এদিকে হত্যার ঘটনায় হাফিজ উদ্দিন নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। সূত্র জানায়, জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মরিয়মের পরিবারের সঙ্গে পিংকুর বিরোধ ছিল।
৩ বছর আগে মরিয়মের বাবাকে বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করে পিংকু। বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর নিয়ে পিংকুর সঙ্গে তাদের বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নেয়। সেই সূত্র ধরে পুলিশ মরিয়মের বাসায় অভিযান চালায়। তার ব্যবহার করা মুঠোফোনের একটি মেমোরি কার্ড জব্দ করে। যা থেকে বেরিয়ে আসে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মরিয়ম তার ভাই অ্যাডভোকেট মতিউর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে পিংকুকে হত্যার পরিকল্পনার কথা আলোচনা করে। হত্যাকাণ্ড ঘটাতে ৪ লাখ টাকায় খুনি ভাড়া করা হয়। অন্য একটি গ্রুপ ২ লাখ টাকায় কাজ করতে রাজি হয় এমন বিষয় নিয়ে মরিয়ম তার ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলছিল। এসব তথ্য জানার পর মতিউর ও তার বোন মরিয়মকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। তারা গা ঢাকা দিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.