রইল বাকি অস্ট্রেলিয়া!

কার্ডিফে সেই স্মরণীয় জয়। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ‘দৈত্য বধে’র দিন পার করে এসেছে বহু আগেই। ২০০৭ এর বিশ্বকাপের পর থেকেই ক্রিকেটের কুলীন দলগুলোকে নিয়মিত হারিয়েছে বাংলাদেশ। আর সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপের পর তো পুরো ক্রিকেট বিশ্ব বাংলাদেশকে চিনেছে নতুন করে। এখন আর ‘বড়’ দল বলে বাংলাদেশের বিপক্ষে কেউ নেই। এখন আর কারও বিপক্ষে জয় ‘অঘটন’ও নয়।
কিন্তু তিনটি দল বাংলাদেশের জন্য হয়ে ছিল একটা আক্ষেপের নাম—পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া আর দক্ষিণ আফ্রিকা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন কোনো দল নেই যাদের বাংলাদেশ কখনো হারায়নি। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডকে তাদেরই মাটিতে হারিয়ে সব বড় দলকে হারানোর বৃত্ত পূরণ করে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আরও দুবার যেখানে জিতেছে বাংলাদেশ, পরের দুটি জয়ই আবার বিশ্বকাপে, সেখানে ওই তিন দল একটা জায়গায় হতাশার কারণ হয়ে ছিল। এই তিন দলের বিপক্ষে একবারের বেশি আর যে জেতেনি বাংলাদেশ।
১৯৯৯ সালের নর্দাম্পটনে পাকিস্তান। ২০০৫ সালে কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়া। আর ২০০৭ সালের গায়ানাতে দক্ষিণ আফ্রিকার। এর পরে এই দল​ তিনটির বিপক্ষে কোনো ম্যাচেই জয়ের দেখা পাচ্ছিল না বাংলাদেশ। শুরুটা যে পাকিস্তানকে দিয়ে হয়েছিল ’৯৯ বিশ্বকাপে, সেই পাকিস্তানকেই বাংলাওয়াশ করে নতুন ইতিহাস রচনা গত এপ্রিলে। ২০০৭ বিশ্বকাপে গায়নার সেই একমাত্র জয়ের আট বছর পর আবারও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো গেল। এবার বাকি রইল কেবল অস্ট্রেলিয়া। দশ বছর আগের সেই জয়টির পর রেকর্ড বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের আর কখনো কোনো ম্যাচেই হারাতে পারেনি বাংলাদেশ।
এই তিন প্রতিপক্ষের ‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল’ হয়ে থাকার ধাঁধার দুটো উত্তর এরই মধ্যে মিলিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া আসছে বাংলাদেশে। কিন্তু সেটি শুধু দুটো টেস্ট খেলতে। ওয়ানডেতে এখন কিছুই অসম্ভব নয়। কিন্তু টেস্টে কি অস্ট্রেলিয়াকে হারানো সম্ভব? হারাতে পারলে তো কথাই নেই। না হলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একমাত্র জয়টিকে ‘দুই’য়ে নিয়ে যেতে ২০১৭ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশকে। সে বছর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ। ওই বছর আগস্টে দুটো টেস্ট আর তিনটি ওয়ানডে খেলতে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে বাংলাদেশ দল।
এর আগে ২৭ বার মুখোমুখি হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতেছিল মাত্র একবার। সংখ্যাটা দুইয়ে পৌঁছাল। এবার অস্ট্রেলিয়ার পালা!

No comments

Powered by Blogger.