‘পুরস্কার’ পেলেন মুস্তাফিজ

কঠিন তপস্যার পুরস্কার পেলেন মুস্তাফিজ। ছবি: এএফপি
হাত ঘোরালেই উইকেট—আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটা হয়তো বড় সহজ মনে হচ্ছিল তাঁর কাছে। তবে ‘গুরু’ রণদেব বসু সতর্ক করেছিলেন, সামনে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। সেই পরীক্ষায় অন্যতম অস্ত্র হবে ধৈর্য। সেই ধৈর্যের পুরস্কার অবশেষে পেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। আজ প্রথমে আঘাত হানলেন ডি কককে সাব্বিরের ক্যাচ বানিয়ে। এর পর রুবেলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে হাওয়ায় উড়ল হাশিম আমলার স্টাম্প। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে মরি​য়া বাংলাদেশ ৪৫ রানে ফেরাল দুই প্রোটিয়া ওপেনারকে।
বাংলাদেশের বোলাররা আজ একটুও জায়গা দিচ্ছে না প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের। ওভার পিছু দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩.১২! ১০ ওভারের পাওয়ার প্লেতে তুলেছে মাত্র ৩৮ রান। পরের ৬ ওভারে আরও ফাঁস টেনে ধরা বোলিং। এই ৬ ওভারে এল মাত্র ১২ রান। ১৬ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৫০/২।
গত ম্যাচে একাদশে জায়গা পাননি। আজ একাদশে ফিরলেন। রুবেলকে অধিনায়ক বোলিংয়ে আনলেন ১১তম ওভারে। নিজের পরের ওভারেই আমলার অটুট রক্ষণদেয়াল ভাঙলেন স্বপ্নের মতো এক ডেলিভারিতে। উইকেট মেডেন। রান দিলেন না পরের ওভারেও। রুবেলের বোলিং ফিগার: ৩-২-৪-১! কৃতিত্ব তাঁরও প্রাপ্য। তবে তরুণ মুস্তাফিজকে বাড়তি বাহবা দিতেই হচ্ছে।
ক্যারিয়ারের প্রথম তিন ওয়ানডেতে ১৩ উইকেট। এমন কীর্তি আর কোনো বোলারেরই নেই। এর সঙ্গে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি ধরলে প্রথম চারটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে পেয়েছেন ১৫ উইকেট। সেই তিনিই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচে উইকেট পেলেন মাত্র একটি। ১৪ ওভার বোলিং করে ৭৯ রান দিয়ে একটি মাত্র উইকেট! বোঝাই যাচ্ছিল, তাঁকে নিয়ে কী পরিমাণ গবেষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এখানেই মুস্তাফিজের আসল পরীক্ষা। প্রথম ওয়ানডেতে উইকেট না পেলেও সেই পরীক্ষায় তাঁকে লেটার নম্বর কিংবা ‘এ প্লাস’ দিতেই হবে। ৬ ওভার বোলিং করে দিয়েছেন মাত্র ১৫ রান। আজও বোলিংটা করেছেন দুর্দান্ত। বেশ কবার তাঁর বলে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাচ্ছিলেন আমলা নয়তো ডি কক। অবশেষে নিজের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে বোকা বানালেন ডি কককে। ৫ ওভারের স্পেলে ১৭ রান দিয়ে ১ উইকেট। ইকোনমি রেট ৩.৪০।
এখন এই চাপটা ধরে রাখার পালা বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের।

No comments

Powered by Blogger.