ইরানে সতীত্ব প্রমাণে অস্ত্রোপচার

ইরানে বিয়ের আগ পর্যন্ত একজন নারীর জন্য সতীত্বের মূল্য অপরিসীম। আগে কখনো সে যৌন সম্পর্ক করেনি বিয়ের রাতে তা প্রমাণের জন্য তাই প্রয়োজনে অনেক মেয়ে অস্ত্রোপচারের দ্বারস্থ হয়। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি বাংলা। এতে বলা হয়, মাহনাজ হোসেন নামে ২১ বছরের এক তরুণী দেশটির উত্তরাঞ্চলে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল।
তিনি বলেন, 'দুর্ঘটনায় আমার নিতম্বের হাড় ভেঙ্গে গিয়েছিল। হাসপাতালে আমি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলাম। কিন্তু আমার মা ডাক্তারকে বলছিলেন, আমার সতীত্ব ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে।'
মায়ের অনুরোধে পরীক্ষা করে সার্টিফিকেট দেওয়া হয় দুর্ঘটনায় মাহনাজ সতীত্ব হারিয়েছেন।
সতীত্বের গুরুত্ব
ইরানের সমাজে এখনও অবিবাহিতা নারীর সতীত্বের গুরুত্ব অনেক। বহু পরিবার চায় তাদের ছেলের বউকে সতী হতে হবে, অর্থাৎ বিয়ের আগে তার যেন যৌন সম্পর্ক না হয়।
সতীত্বের প্রমাণ হিসেবে দেখা হয়, তার যৌনাঙ্গের ভেতরে একটি পর্দা অক্ষত আছে কিনা। সেই পরীক্ষা করে সনদ দেয় আইএলএমও নামে ইরানের সরকারি একটি মেডিকেল সংস্থা।
চাইলে বিয়ের আগে কনেপক্ষ থেকে সতীত্বের সেই সনদ বরপক্ষের হাতে তুলে দিতে হয়।
অনেক সময় মেয়ের আপত্তি থাকলেও পরিবার জোর করে সতীত্বের পরীক্ষা করিয়ে থাকে। আর সে কারণে সেই পরীক্ষার আগে সন্দেহ থাকলে অনেক নারী অস্ত্রোপচার করে যোনির পর্দা জোড়া লাগাতেও দ্বিধা করেন না।
বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ক ইরানে বিশাল অপরাধ। শুধু যে সামাজিকভাবে নিষিদ্ধ তা নয়, এ ধরনের সম্পর্ক আদালতে প্রমাণিত হলে কঠিন সাজা হয়।

No comments

Powered by Blogger.