কংগ্রেস নিশ্চিহ্ন- প্রিয়াঙ্কাকে নেতৃত্বে আনতে বিক্ষোভ

একের পর এক বিপর্যয়ে থাকা কংগ্রেস এবার মুছে গেল দিলি্ল থেকে। একটানা প্রায় ১৬ বছর দিলি্ল শাসনের পর এবার একটি আসনও পেল না ভারতের ঐতিহ্যবাহী দলটি। আগে থেকে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হলেও একটি আসনও যে কংগ্রেস পাবে না সেটি কেউই ভাবেনি।
রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখার্জি থেকে শুরু করে দলের সাধারণ সম্পাদক অজয় মাকেন_ সবাই হেরে গেলেন। কোনো আসনেই জিততে পারল না কংগ্রেস। ব্যর্থতার দায় নিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অজয় মাকেন। তিনি বলেন, এই হারের দায় আমার।
তবে হারের জন্য রাহুল গান্ধীকে দায়ী করে কংগ্রেস সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান কর্মীরা। শেষ অবধি পুলিশ নামিয়ে সেই বিক্ষোভ থামানো হয়। বিক্ষোভে আবারও স্লোগান উঠে_ প্রিয়াঙ্কা লাও, দেশ বাঁচাও। নির্বাচনের প্রচারে ছোট-বড় অনেক সভা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তখনই অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন বিপর্যয় হলে সেই দায় পড়বে রাহুলের গায়ে। তবু ঝুঁকি নিয়ে প্রচার করেছিলেন রাহুল। কিন্তু সেই আশঙ্কাই সত্য হলো। অনেক প্রচারের পরও শূন্য কংগ্রেস। এর মধ্য দিয়ে লোকসভায় বিপর্যয়ের রেশ আরও গভীর হলো তাদের।
গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভোট ছিল শতকরা ২৫ ভাগ। এবার তা কমে হয়েছে শতকরা ৯ ভাগ। কংগ্রেসের ভোট ব্যাংক চলে গেছে কেজরিওয়ালের সমর্থনে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে ধারাবাহিকভাবে ভোট বেড়েছে কেজরিওয়ালের। যার অন্যতম কারণ কংগ্রেসের অবক্ষয়।

No comments

Powered by Blogger.