খালেদার কার্যালয়ে খাবার নিতে বাধা

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে খাবার নিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। রাত ৮টার দিকে কার্যালয়ের গেট থেকে খাবারবহনকারী ভ্যান ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। উল্লেখ্য, ৩রা জানুয়ারির পর থেকে কার্যালয়ে অবস্থান করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ কয়েকজন নেতা এবং কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। প্রতিদিন বাইরে থেকে তাদের খাবার নেয়া হয়। গতকাল রাতের খাবার নেয়া হলেও পুলিশ খাবার ভ্যানটি কার্যালয়ের গেট থেকে ফিরিয়ে দেয়। এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি কার্যালয়ের বিদ্যুৎ, টেলিফোন, কেবল টিভি, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয় সরকার। ১৯ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হলেও অন্যান্যগুলো এখনও ছিল বিচ্ছিন্ন। এদিকে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের আশপাশে কয়েকটি বিদেশী দুতাবাসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার বিকালে সেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল করা হয়।
‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ধৈর্য ও সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করুন’ -জামায়াত
রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ধৈর্য ও সাহসের সঙ্গে মোকাবিলার আহবান জানিয়েছে জামায়াত। দলের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ এক বিবৃতিতে এই আহবান জানান। তিনি বলেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষ জালেম সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবীতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করছে। আন্দোলনের তোড়ে দিশেহারা সরকার ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার করছে। দেশের কারাগারগুলোতে ধারণ ক্ষমতার প্রায় চারগুণ লোককে ঠাসাঠাসি করে রাখা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন জেলায় নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধসহ নেতা-কর্মীদের স্ত্রী, কন্যা, পুত্র ও আত্মীয়-স্বজনদের আটক করছে। নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘরে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং লুটপাট করছে। তিনি বলেন, সরকার দলীয় ক্যাডাররা পরিকল্পিতভাবে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করছে। গত ১০ই ফেব্রুয়ারী বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা সোহাগের বাড়িতে বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরিত হয়ে তার ডান হাতের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এ ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই সন্ত্রাসের নায়ক। তারাই বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে দেশকে রাজনীতি শূন্য করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী তা-ব ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার জন্য তিনি দেশের ‘সংগ্রামী জনতার’ প্রতি আহ্বান জানান। অধ্যাপক মুজিব বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গতকালও রাজধানী ঢাকা ও বিভিন্ন জেলায় ২০ দলীয় জোটের প্রায় ৩ শত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। এভাবে গ্রেপ্তার করে মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়ে জনগণের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। 

No comments

Powered by Blogger.