নেপালের পার্লামেন্টে হাতাহাতি মারামারি

নেপালের পার্লামেন্টে মঙ্গলবার সকালে আইণপ্রণেতারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। মাওবাদী আইনপ্রণেতা তার বসার চেয়ার ছুঁড়ে মারেন। এ ঘটনায় চার নিরাপত্তা কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। নতুন জাতীয় সংবিধান প্রণয়নে নির্ধারিত সময়সীমার আগে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এ ঘটনা ঘটেছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর বিরোধী মাওবাদীরা দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট শুরু করেছে। কোনো অভিন্ন ঐকমত্য ছাড়াই নতুন জাতীয় সংবিধানে ক্ষমতাসীন জোটের নিজস্ব প্রস্তাব-প্রস্তাবনার অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতে মাওবাদীরা এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। নতুন সংবিধান প্রণয়নে নির্ধারিত সময়সীমা বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে। মাওবাদীরা জানান, চূড়ান্ত ঐকমত্য না হওয়া পর্যন্ত সময়সীমা পার হয়ে গেলেও, সংবিধান নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে। মঙ্গলবার ধর্মঘটের কারণে দেশটিতে কারখানা, দোকানপাট, স্কুল-কলেজ ও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। ২০০৬ সালে মাওবাদীরা তাদের কয়েক দশক ধরে চালানো বিদ্রোহের অবসান ঘটায়।
সে সময় থেকে নেপালে রাজনৈতিক অচলাবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ জানায়, বাস, ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়ি ভাংচুরের জন্য ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে। ব্যস্ত সময়ে সাধারণত রাজধানী কাঠমান্ডুর রাস্তাঘাটে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে ধর্মঘটের সময় রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা দেখা গেছে। বহু লোকজন তাদের বাড়িঘরেই অবস্থান করছেন। এদিকে দফায় দফায় আলোচনা সত্ত্বেও নেপালের আইনপ্রণেতারা সংবিধানের ব্যাপারে একমত হতে পারেননি এবং বৃহস্পতিবারের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি না-ও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন ইউএমএল পার্টির আইনপ্রণেতা রাজন ভট্টরাই বলেন, মাইক্রোফোন ছুড়ে মারলে তা দুই এমপির গায়ে এসে লাগে। তিনি বলেন, সহিংসতার জন্য মাওবাদীরা দায়ী। দলের দুই উচ্চপদস্থ নেতার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘মাওবাদী নেতা পুষ্প কমল দহল ও বাবুরাম ভট্টরাই শান্তিপূর্ণভাবে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য বারবার আশ্বস্ত করেছেন। তারপরও এই আচরণের আমরা নিন্দা জানাচ্ছি।’ এএফপি

No comments

Powered by Blogger.