‘সরকারের পেছনে জনগণ থাকলে দমন-পীড়ন করতো না’

তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেছেন, এখন দেশে যে পরিস্থিতি এটা কোন গণতন্ত্রের লড়াই নয়। এটা হচ্ছে চর দখলের লড়াই। লুটেরা শক্তি, দখলদার শক্তির ক্ষমতার লড়াই। যদি সরকারের পেছনে জনগণ থাকতো তাহলে তারা এভাবে দমন পীড়ন, ক্রসফায়ার, হামলা, অত্যাচার করতো না। একই সঙ্গে বিএনপি যদি জনগণের সমর্থন আশা করতো তাহলে তারা সরকারের বিধি নিষেধ অতিক্রম করতো না। বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এই দুই শক্তি বাংলাদেশকে ভয়ঙ্কর বিপদের মধ্যে নিপতিত করছে উল্লেখ করে ড. আনু মোহাম্মদ বলেন, বর্তমানকে দখল করতে গিয়ে সরকার ও তথাকথিত বিরোধী দল ভবিষ্যতকে অন্ধকারে নিপতিত করেছে। বাংলাদেশের জনগণকে নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলেছে। সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর খুনীদের সঙ্গে হাত মেলাবেন না এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, এ কথায় খুশি হতাম যদি তিনি বলতেন ত্বকীর হত্যাকারীদের সাথে হাত মেলাবেন না, রামদা বাহিনী ত্যাগ করবেন, পুলিশ র‌্যাব যারা ক্রসফায়ার করে তাদেরকে বরখাস্ত করবেন, এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় যে লুটেরা দখলদার বাহিনী আছে তাদেরকে ত্যাগ করবেন। কিন্তু সেটা তিনি বলেননি। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান। এছাড়াও সমাবেশে ভারত, নেপাল, আমেরিকার বিপ্লবী নেতারা বক্তৃতা করেন। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান বলেন, বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। একদিকে শাসকশ্রেণী কঠোর হাতে দমন করছে অন্যদিকে আরেকটি পক্ষ হরতাল অবরোধ দিচ্ছে। গাড়ীতে আগুন দিচ্ছে। গুলিতে মানুষ মরছে। চারদিকে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এটা বাংলাদেশের পরিণতি হতে পারে না। তিনি বলেন, ছাত্র সমাজকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। হল দখল, সিট বাণিজ্য ছাত্ররাজনীতির মূলমন্ত্র হতে পারে না।

No comments

Powered by Blogger.