২ টাকায় ফুলকপি

চলতি মৌসুমে মানিকগঞ্জে বাম্পার ফলন হয়েছে ফুলকপির। তবুও হাসি নেই কৃষকের মুখে। ফুলকপি বিক্রি করতে রীতিমত বিপাকেই পরেছে কৃষক। এক হালি ফুল কপি বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১০ টাকায়। যা উৎপাদন খরচ তো দুরের কথা বাজারে বহন করে আনার খরচও উঠছে না। এমনি দৃশ্য দেখা গেছে জেলার বিভিন্ন হাট- বাজারে। বুধবার সরেজমিনে জেলার বৃহত্তর সাপ্তাহিক হাট ঘিওর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, বিক্রির জন্য প্রচুর পরিমান ফুল কপি নিয়ে বসে আছে কৃষকেরা। ক্রেতা নেই বললেই চলে।  আমজাদ হোসেন নামের এক ব্যক্তি মাঝারি আকারের ৫ টি ফুলকপি ক্রয় করেছে ১০ টাকা দিয়ে। ফুলকপি বিক্রেতা রাধাকান্তপুর গ্রামের মোঃ মুন্নাফ মিয়া জানান, ৫০ টাকা ভ্যান ভাড়া দিয়ে এক ঝুড়ি ফুল কপি নিয়ে আসছি। একটিও বিক্রি হয়নি। অপর সবজী বিক্রেতা মো: রশিদ মিয়া জানান, ফুলকপি বিক্রিতে প্রথমদিকে বেশী দামে কিনে আরো চড়া দামে বিক্রি করতে পেরেছি। তাতে লাভ ভাল পেয়েছি। এখন সস্তা পেয়ে বিক্রিতেও ধস নেমেছে। কৃষকেরও বারোটা বেজে গেছে।
ঘিওর কৃষি অফিসের কর্মকর্তা রেজোয়ানা রহমান জানান, মৌসুমের প্রথম দিকে যারা ভাল ফলন করতে পেরেছে তারা বেশ চাহিদা ও উচ্চ মুল্য পেয়ে আর্থিক লাভবান হয়েছেন। এখন যা বাজার তাতে মূলধন ফিরে পাওয়াও মুশকিল।
খোজ নিয়ে জানা যায়,  অনেক চাষী ফুলকপি বিক্রি করতে না পেরে হাটেই ফেলে রেখে গেছে। জেলার ৭ টি উপজেলাতেই বিগত কয়েক বছরে ফুলকপি আর বাধাকপির বাম্পার ফলন হয়। এতে লাভজনক ফসল হিসেবে অনেক কৃষকই অতি উৎসাহী হয়ে আবাদ করেন। যার কারনে এ বছর চাহিদার তুলনায় ফলন অনেক বেশী হয়েছে বলে জানা যায়। তারই প্রভাব পরেছে স্থানীয় বাজার গুলিতে। এ ছারা ঢাকার কাওরান বাজারে ও আশুলিয়ার বাইপাইল পাইকারী সবজী আরতের এক তৃতীয়াংশ ফুলকপি যায় মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে। ঢাকার বাজারেও অন্য বছরের চাইতে এ বছর চাহিদার তুলনায় আমদানী অনেক বেশী হওয়ায় সঠিক মুল্য পাচ্ছে না চাষীরা। ফুল কপি চাষ করে এভাবে লোকসান হলে আগামীতে এর আবাদ কমে যাবে বলে ধারনা করছে স্থানীয় কৃষকরা।

No comments

Powered by Blogger.