সিলেটে ছাত্রদল-পুলিশ সংঘর্ষ, গুলি, টিয়ার শেল

অবরোধের প্রথম দিনেই সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের তেলিবাজারে অবরোধকারী ছাত্রদলকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। ছাত্রদলকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে রাখলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। আর এ নিয়ে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। ছাত্রদল কর্মীরা এ সময় মহাসড়কে চারটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটালে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৪ রাউন্ড শটগানের গুলি ও ৫ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সকাল ১০টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে ৮-১০টি গাড়ি ভাঙচুরের দাবি করে ছাত্রদল। ছাত্রদল নেতাদের দাবি অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ৪টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেলও নিক্ষেপ করা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি ছুড়লে ছাত্রদল  নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যান। সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদ জানিয়েছেন, পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে তাদের কয়েকজন কর্মী আহত হন। দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল সাংবাদিকদের জানান, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের তেলিবাজার এলাকায় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ২৪ রাউন্ড শটগানের গুলি ও ৫ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এদিকে, সিলেট নগরীর কদমতলী এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করে কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করেছে ছাত্রদল কর্মীরা। দুপুর ১২টার দিকে কদমতলীতে এলাকায় তারা একটি ঝটিকা মিছিল বের করে। এ সময় একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ দেখে তারা পালিয়ে যায়। তবে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ ও জেলার সভাপতি সাঈদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক রাহাত চৌধুরী মুন্না, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ  লোকমানের নেতৃত্বে এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, নজরুল ইসলাম, শাহেদ বকস, আফসর খান, সৈয়দ সারোয়ার রেজা, ফয়জুর রহমান, মকসুদ আহমদ প্রমুখ। বেলা ২ টার দিকে নগরীর লামাবাজার এলাকায় ছাত্রদল-শিবিরের মিছিলে ধাওয়া দিয়েছে ছাত্রলীগ। অবরোধের সমর্থনে যৌথভাবে ঝটিকা মিছিল বের করে ছাত্রদল ও শিবির। এ সময় মদন মোহন কলেজে অবস্থান করা ছাত্রলীগ  নেতাকর্মীরা তাদেরকে ধাওয়া  দেন। ধাওয়া খেয়ে ছাত্রদল-শিবির  রেনতাকর্মীদের মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে লামাবাজার ফাঁড়ি পুলিশ। তবে তারা এসে ছাত্রদল-শিবির নেতাকর্মীদের না পাওয়ায় কাউকে আটক করতে পারেনি। এ ব্যাপারে লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জামাল জানান, ছাত্রদল ও শিবিরের মিছিলের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তবে আমরা যাওয়ার আগেই তারা পালিয়ে যায়।
স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের সড়ক অবরোধ: সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় সড়ক অবরোধ করে মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদল। সকাল ৮.০০টায় দক্ষিণ সুরমার বাবনা পয়েন্ট থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কীন ব্রিজ মোড়, পুরাতন রেলস্টেশন ঘুরে পুনরায় বাবনা পয়েন্টে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ২৬ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মফিজুর রহমান জুবেদের সভাপতিত্বে এবং ছাত্রদল নেতা ইমরানুল ইসলাম জাসিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাহাত চৌধুরী মুন্না। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদল নেতা জয়নাল আহমদ, আলতাফ হোসেন বেলাল, খালেদুর রশিদ ঝলক, তছির আলী, লিটন কুমার দাস নান্টু, আমিনুল ইসলাম সাজু, মনোজ দেব, শফিক আহমদ, দেওয়ান নিজাম খান, আবদুল কাইয়ুম, কামাল হোসেন, হামিদ হোসেন, দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমদ সোহেল, আবু আম্বিয়া, জাকারিয়া আহমদ, তোফায়েল আহমদ তুহিন, কয়েছ আহমদ, নুরুল ইসলাম রুহুল, ঝলক আচার্য, মিসবাউল আম্বিয়া, লাহিন আহমদ, আবদুল হান্নান, আবদুল মুকিত মুকুল, এমদাদ হোসেন, ফরিদ উদ্দিন, আমিন আহমদ, আব্দুল মোতাকাব্বির সাকি, দেলওয়ার হোসেন, আবু ইয়ামিন চৌধুরী, সদরুল ইসলাম লোকমান, ওমর ফারুক, শেখ সামসুদ্দিন, এপলু আহমদ, ফখরুল ইসলাম, রাজন আহমদ, তাজুল ইসলাম সাজু, আবদুস সালাম প্রমুখ।
মহানগর বিএনপি’র বিক্ষোভ: অবরোধ চলাকালে নগরীর সোবহানীঘাটে মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব বদরুজ্জামান সেলিমের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি সোবহানী পয়েন্ট থেকে বের হয়ে কাঁচাবাজার পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির শাহীন, আজমল বক্ত সাদেক, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, মুকুল মোর্শেদ, আফজল উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা লোকমান আহমদ, লিটন আহমদ, সাহেদ আহমদ, মাহবুব আহমদ চৌধুরী, আলী আকবর রাজন, নাজিম উদ্দিন, রাইসুল ইসলাম সানি, উজ্জ্বল রঞ্জন, তানিম চৌধুরী আপন, রুমান আহমদ রাজু, মঈনুল ইসলাম পাপ্পু, জাবেদুর রহমান জাবেদ, আবদুল মালেক প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.