তারেকের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা

আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকায় লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য দেশের সকল গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশে অর্ন্তবর্তী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট। এই সঙ্গে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবেনা এ মর্মে ৪ সপ্তাহের রুল দিয়েছেন আদালত। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার না করার নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে আজ এ আদেশ দেন বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা। তার পক্ষে আইনজীবী হিসাবে শুনানি করেন সানজিদা খানম । রিটে বিবাদী করা হয়েছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিটিভির মহাপরিচালক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, একুশে টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক, কালের কণ্ঠের সম্পাদকসহ গণমাধ্যমকে। রিটকারী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা বলেন, একজন ফেরারি আসামির বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচার হতে পারে না। যাকে আদালত খুঁজে পাচ্ছেন না, তার বক্তব্য প্রচারযোগ্য নয়। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি এ রিটটি দায়ের করেছি। ভবিষ্যতে কোনো পত্রিকা, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য প্রকাশ, প্রচার, সম্প্রচার, পুন:উৎপাদন না করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে তথ্য সচিবের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয় রিট আবেদনে।   রিটে বলা হয়, ফেরারি তারেক রহমান সংবিধান লঙ্ঘন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে নানা অপরাধমূলক কথা বলছেন। যা দন্ডবিধি অনুসারে অপরাধ। এর মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের অনুভূতিতে আঘাত দিচ্ছেন। এছাড়া তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি শান্তিভঙ্গ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছেন বলেও রিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
আল কায়েদার নিউজ প্রচারিত হচ্ছে না? -খন্দকার মাহবুব
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, আল কায়েদার নিউজ দিচ্ছে না। বড় সন্ত্রাসীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে বক্তব্য দিচ্ছে না। আমরা অতীতে দেখেছি, অনেক আন্ডারগ্রাউন্ড নেতা,  ফেরারি আসামি বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশে কোন বিধি নিষেধ সরকার দেয়নি, আদালতও দেননি। বুধবার সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আজ আদালত যে রুল জারি করেছে, তা পাক-ভারত উপমহাদেশের জন্য নতুন ধরনের রুল। বিদেশে অন্য কোথাও এ ধরনের আদেশের কথা আমার জানা নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, রুল শুনানির পর বাক স্বাধীনতা খর্ব করে আদালত কোন নির্দেশনা দিবে না। আমি যা বলেছি, সেটা বাক স্বাধীনতার পরিধি অতিক্রম করা হয়েছে কি-না, সেটা আদালত নির্ধারণ করবেন। তার আগেই সেটাকে বন্ধ করে দেয়া সঠিক না। খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বাক স্বাধীনতার মানে যা খুশি বলা, যা খুশি করা না। দেশের প্রচলিত আইন মেনেই বাক স্বাধীনতা সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.