লালমনিরহাটে ব্যতিক্রমী অবরোধ কর্মসূচি

লালমনিরহাটে ব্যতিক্রমী এক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ রাখার প্রতিবাদে সংগঠনটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে এ অভিনব কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় ১০ হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের রংপুর-কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট মহাসড়কের শিমুলতলায় অবস্থান নেন। তারা মহাসড়কের এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সড়ক দখলে নেয়। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে এ অবরোধ কর্মসূচিতে যোগ দেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিপুলসংখ্যক মহিলারা রান্নার সামগ্রী সঙ্গে নিয়ে এসে সড়কে রান্না করে দুপুরের খাবারের আয়োজন করেন। স্কুলের শিক্ষার্থীরা বই-খাতা সঙ্গে নিয়ে এ কর্মসূচিতে যোগ দেয়। মহাসড়কেই ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান করা হয়। স্থানীয় বড়বাড়ি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া তামান্না জানায়, সে তার মা-বাবার সঙ্গে অবরোধ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে। এখানেই তাদের পাঠদান দেয়া হচ্ছে। একজন গৃহশিক্ষক জানান, তার ছাত্রছাত্রীরা বই-খাতা নিয়ে এখানে এসেছে। তিনি মহাসড়কেই তাদের লেখাপড়া শেখাচ্ছেন। নীলিমা রাণী রায়, আমেনা বেগমসহ অনেকেই রান্নার সামগ্রী সঙ্গে নিয়ে অবরোধ কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসেন। নীলিমা রায় বলেন, খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ দশা থেকে মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত তারা স্বামী-সন্তান নিয়ে মহাসড়কেই অবস্থান করবেন। পরে দুপুর ১২টায় রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে মহাসড়কে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ। সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, প্রায় ১০ হাজার পুলিশ-বিডিআর দ্বারা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। অবরুদ্ধ করা হয়েছে গণতন্ত্রের ‘মা’ কে। ফলে বাংলার ছেলেরা সেই মাকে অপমানের জবাব দিতে রাস্তায় নেমে এসেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধভাবে একবছর দেশে রাজত্ব করেছে। এ ভোটারবিহীন সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিএনপি মাঠে আছে এবং থাকবে। এ প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.