দুষ্কৃতকারীদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান সুইজারল্যান্ডের

সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমানের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় উদ্বেগ জানিয়েছে সুইজারল্যান্ড। দেশটির তরফে গতকাল প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বর্বর ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত বিচারের মুখোমুখি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। ঢাকাস্থ সুইস দূতবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা ওই বিবৃতিতে দেশজুড়ে চলা রাজনৈতিক সংঘাতে নিরীহ লোকদের প্রাণহানিতে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। ওই সংঘাত-সহিংসতা বন্ধ করে সংযত আচরণ করতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে রাজনৈতিক সংলাপের জোর তাগিদ পুনর্ব্যক্ত করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আধুনিক সময়ের গণতন্ত্রে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, আলোচনা ও সংলাপের কোন বিকল্প নেই। বর্তমান পরিস্থিতির উত্তরণে গণতন্ত্র চর্চার স্থান উন্মুক্ত করা এবং সব পক্ষের জন্য সভা-সমাবেশ ও কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করতে সুইস সরকার বাংলাদেশ সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে।
খালেদার কার্যালয় ঘেরাওয়ের চেষ্টা
পরনে লুঙ্গি, শার্ট, গেঞ্জি। কারও পায়ে স্যান্ডেল, কারও পা খালি। কারও কাঁধে কোদাল। নারীদের পরনে শাড়ি, থ্রিপিস। সংখ্যায় প্রায় একশ’। মুখে হরতাল-অবরোধ বিরোধী মিছিল। তাদের গন্তব্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়। এ কার্যালয়েই ৩রা জানুয়ারি রাত থেকে অঘোষিত বন্দি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। কয়েক দফায় কার্যালয় থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। সকালে খালেদা জিয়ার কার্যালয়মুখী মিছিলটি গুলশান-২ গোলচত্বরে আসলে আটকে দেয় পুলিশ। প্রায় ২০ মিনিট সেখানে অবস্থান করেন তারা। মিছিলে অংশ নেয়া এরশাদ আলী জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতা তাকে মিছিলে পাঠিয়েছেন। প্রথমে অসুস্থতার অজুহাতে তিনি মিছিলে আসতে চাননি। তখন ওই আওয়ামী লীগ  নেতা জিজ্ঞেস করেন, ‘তোর হাজিরা কত?’। দৈনিক চারশ’ টাকা হাজিরা জানালে তিনি পরিশোধ করতে রাজি হয়ে যান। এরশাদ আলী বলেন, ‘আমি কোন দল করি না। চারশ’ টাকা হাজিরা পাইছি। তাই মিছিলে আইছি।’ ঘেরাও কর্মসূচিতে আসা এক নারী বলেন, ‘শান্তি ম্যাডাম আমাদের নিয়া আইছে। বলছে, মিটিংয়ে যাইতে হইব।’ তাদের কাছে শান্তি ম্যাডাম হিসেবে পরিচিত শান্তি বেগম বলেন, মিছিলে অংশ নেয়া সব মহিলারা আওয়ামী লীগ করেন। হরতাল-অবরোধে কাজ না পাওয়ায় তারা খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাও করতে এসেছেন। ঘেরাও কর্মসূচিতে আসা একাধিক ব্যক্তির দাবি, বনানীর কড়াইল ইউনিটের বাস্তুহারা লীগ এই কর্মসূচির আয়োজন করেছে। মিছিলে স্লোগান ছিল- ‘ভাত দে, কাপড় দে. নইলে অবরোধ তুলে নে’, ‘খালেদা জিয়ার হরতাল-অবরোধ মানি না, মানি না।’ একপর্যায়ে মিছিলকারীরা বনানীর দিকে চলে যান।

No comments

Powered by Blogger.