‘সহিংসতা বন্ধে সরকারের সঙ্গে আছি’ -রওশন এরশাদ

দেশে চলমান নৈরাজ্য বন্ধ করতে প্রয়োজনে পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা বলেছেন বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। মঙ্গলবার সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে তিনি বলেন, যে কোন মূল্যে নৈরাজ্য প্রতিহত করতে হবে। যে কোন দাবি আদায়ের মূল হাতিয়ার হরতাল, অবরোধ। কিন্তু বর্তমানে হরতাল অবরোধের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। একের পর এক মানুষ পুড়িয়ে মারছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে আগুন দিচ্ছে। এটা কোন আন্দোলন নয়, এটা সন্ত্রাস। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিরোধী দলের নেতা বলেন, চলমান সহিংসতা প্রতিরোধে আপনি যে পদক্ষেপ নেবেন আমাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এ সময় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। হরতাল, অবরোধে ক্ষয়ক্ষতি তুলে ধরে তিনি বলেন, গত ১৫/১৬ দিনে ২৫-৩০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সহিংসতায় ২০০-৩০০ লোকের ক্ষতি হয়েছে। বেশকিছু মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। এর দায়-দায়িত্ব কার? এদের কে দেখবে? লাখ লাখ শ্রমিক অনাহারে দিনাতিপাত করছে। গার্মেন্টস সেক্টরে হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কোন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। রওশন আরও বলেন, আমরা দেশের স্বার্থে কেন এক হতে পারি না?। প্রতিহিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতি দিয়ে কোন কিছু আদায় করা যায় না, অর্জন করা যায় না। ফ্রান্সের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সেখানে ৫০টি দেশের নেতারা একমত হয়েছিলেন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার। সেই আন্দোলনে ১০ লাখের বেশি মানুষ প্রতিবাদ করেছিল। আমরা কেন পারি না?। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধী, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সব দেশেই হয়। সেই ধারাবাহিকতায় আমাদের দেশেও হচ্ছে। তার প্রতিবাদে তো আন্দোলন হতে পারে না।

No comments

Powered by Blogger.