বরিশালে ঢাকাগামী দুই লঞ্চে আগুন, ফেনীতে পেট্রলবোমায় দগ্ধ ৩

বরিশাল লঞ্চঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার ১০ মিনিট আগে ২টি লঞ্চে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় দুই লঞ্চে থাকা দুই সহস্রাধিক যাত্রীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা   ঘটেনি। নৌ ফাড়ির এস আই নজরুল জানান, রাত পোনে ৯টায় বৃহদাকার বিলাসবহুল এমভি সুন্দরবন-৭, ও পারাবত ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ লঞ্চ দুটিতে ২ সহস্রাধিক যাত্রী ছিল। হঠাৎ সুন্দরবন-৭ লঞ্চের তৃতীয় তলার ৩১৬ এবং পারাবত-১০ লঞ্চের ২য় তলায় ২০১ নম্বর কেবিনের ভিতর থেকে ধোয়া বেরুতে দেখা যায়। এ সময় কেবিন ও লঞ্চ ঘাটের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত লঞ্চের কর্মচারী ও ঘাটে থাকা পুলিশ সদস্যরা কেবিন দুটির বিছানাপত্র নদীতে ফেলে দেয়। এরপর লঞ্চ দুটি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এস আই নজরুল জানান, ঐ কেবিন দুটি কারা ভাড়া নিয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হবে। তার ধারণা অবরোধ সমর্থকরা এ আগুন দিয়েছে। নজরুল ইসলাম আরও বলেন, আগুনের পরপরই বরিশার নৌবন্দরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সুন্দরবন-৭ লঞ্চের কাউন্টার ম্যানেজার জাকির হোসেন জানান, ৩১৬ নং কেবিনের বাইরে তালা দেয়া ছিল। হঠাৎ আগুনের সংবাদ পেয়ে সবাই সেখানে ছুটে যায়। তালা ভেঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণের আগেই কেবনিটি পুরোপুরি পুড়ে যায়। একটু দেরি হলেই পুরও লঞ্চেই আগুন ছড়িয়ে পড়ত। পেট্রল ঢেলে এ আগুন দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। এমভি সুন্দরবন লঞ্চের স্বত্বাধিকারী ও আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, তিনি লঞ্চের কেবিনে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনের খবর পেয়েছেন। এক্ষেত্রে আইনগত কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কিনা এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কার বিরুদ্ধে নেব?
ফেনীতে পেট্রলবোমায় দগ্ধ ৩
ফেনীর দাগনভূঞায় দুর্বৃত্তের ছোড়া পেট্রলবোমায় সিএনজি অটোরিকসার চালকসহ তিনজন দগ্ধ হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ফেনী-বসুরহাট সড়কের দাগনভূঁঞা উপজেলার দুধমুখা বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে। একই সময় দুর্বৃত্তরা ফেনী পৌরসভার কাউন্সিল মোহাম্মদ মানিকের প্রাইভেটকারে ককটেল হামলা করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ফেনী-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের দুধমুখার বাজারের পাশে কুমার পোল এলাকায় দুর্বৃত্তরা একটি সিএনজি অটোরিকসায় পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে। এসময় সিএনজি অটোরিকসা পুড়ে যায়। সিএনজিতে থাকা চালক ও অটোরিসার মালিক শাহাজাহান পিন্টু, যাত্রী সাদ্দাম হোসেন ও মানিক মজুমদার দগ্ধ হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে দাগনভূঞা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সাদ্দাম হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল ফয়সাল জানান, আগুনে দগ্ধ দুই জনকে ফেনী সদর হাসপাতালে ও এক জনকে দাগনভূঁঞা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদিকে রাত সাড়ে আটটার দিকে ফেনী পৌরসভার ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল মোহাম্মদ মানিকের প্রাইভেটকারে ককটেল হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। শহরের লাল পোল থেকে ফেনী ফেরার পথে প্রাইভেটকারটি সেন্ট্রল স্কুলের সামনে পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়ে মারে। এতে তার গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে যায়।

No comments

Powered by Blogger.