‘কিসের পরীক্ষা কিসের কী’?

(আজ শনিবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বিবিসি বাংলা সংলাপে উপস্থিত আলোচকেরা। বাঁ থেকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, রওনক জাহান, আকবর হোসেন, শাহদীন মালিক ও হাফিজউদ্দিন আহমেদ।) বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘কিসের পরীক্ষা, কিসের কী? আগে আইনের শাসন দরকার। প্রয়োজনে পরীক্ষা পিছিয়ে দেন।’ আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে আয়োজিত বিবিসি সংলাপে হাফিজউদ্দিন এই মত দেন। তিনি বলেন, বিএনপি ভোটের অধিকারের জন্য লড়ছে। আর আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, যারা সন্ত্রাস করে, মানুষ পুড়িয়ে মারে তাদের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে না। এই দুই রাজনীতিবিদ ছাড়াও এবারের সংলাপে অতিথি আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিক এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রওনক জাহান। অতিরিক্ত বল প্রয়োগ চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার সমাধান কি না, সংলাপের শুরুতেই এমন প্রশ্ন তোলেন এক দর্শক। জবাবে শাহদীন মালিক বলেন, পেট্রলবোমা দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা, নাশকতা—এর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলার যোগাযোগ তো আছেই। কিন্তু সেটা ৩০ ভাগ। ৭০ ভাগই রাজনৈতিক। কাজেই রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে। একই মত প্রকাশ করে রওনক জাহান বলেন, রাজপথের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত। তবে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, আলোচনা অবশ্যই হতে পারে। কিন্তু যারা সন্ত্রাস করে, তাদের সঙ্গে নয়। তারা যদি নমনীয় হয়, সন্ত্রাস পরিহার করে, তাহলে আলোচনা হতে পারে। হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বল প্রয়োগ করে কখনোই সমস্যার সমাধান করা যাবে না। কারণ বিএনপির সঙ্গে জনগণ আছে। কোকের জানাজায় লাখো মানুষের উপস্থিতি সেটাই প্রমাণ করে।’ রাজনৈতিক সহিংসতায় ক্ষতির শিকার লোকজনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত কি না, দর্শকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে শাহদীন মালিক ও রওনক জাহান দুজনেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পক্ষে মত দেন।

No comments

Powered by Blogger.