সাগরেই জরুরি অবতরণ করেছিলেন পাইলট?

খারাপ আবহাওয়ার কারণে গতকাল বৃহস্পতিবারও এয়ারএশিয়ার বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ এগোয়নি। তবে উদ্ধারকারীরা এক সপ্তাহের মধ্যে উড়োজাহাজটির ব্ল্যাক বক্স (যাতে ফ্লাইটের তথ্য থাকে) পাওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন। কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, হয়তো উড়োজাহাজটিকে অক্ষত অবস্থায়ই সাগরে অবতরণ করাতে পেরেছিলেন। খবর বিবিসি ও এএফপির।
ইন্দোনেশীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা সিয়াহালা আলমশিয়াহ বলেন, খারাপ আবহাওয়ার জন্য গত বুধবার রাতে ৫০ জনের একটি ডুবুরি দল কাজ করতে পারেনি। গতকাল সকালে সাগর শান্ত এবং আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেলে আশা জাগে। তবে কয়েক ঘণ্টা পরই আবহাওয়া আবারও খারাপ হয়ে যায়। বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটিতে দুজন চালক, পাঁচজন ক্রু সদস্য এবং শিশুসহ ১৫৫ জন যাত্রী ছিল। এ পর্যন্ত মাত্র সাতটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
এয়ারবাস এ ৩২০-২১৬ উড়োজাহাজটি ওড়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর ঝড়ের মধ্যে জাভা সাগরের আকাশে রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু ভেঙে পড়লে বা পানিতে ডুবে গেলে সাধারণত যে সংকেত দেওয়ার কথা তা পাঠায়নি। এএফপিকে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এর অর্থ হচ্ছে বিমানবাহিনীর সাবেক পাইলট অভিজ্ঞ চালক ইরিইয়ান্তো সাগরে জরুরি অবতরণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এতে করে উড়োজাহাজটিকে প্রচণ্ড আঘাত সইতে হয়নি। এ কারণে ইমার্জেন্সি লোকেটর ট্র্যান্সমিটার (ইএলটি) নামে সংশ্লিষ্ট যন্ত্রটি কোন সংকেতও পাঠায়নি।
তদন্তকারীদের কেউ কেউ ধারণা করছেন, খারাপ আবহাওয়া এড়াতে উড়োজাহাজটি সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি ওপরে উঠে যায়। এ কারণেই তা নিচে পড়ে গিয়ে থাকতে পারে।
বিমানের মূল অংশটি খুঁজতে ডুবুরি দল সম্ভাব্য দুর্ঘটনার স্থানে সাগরতলে নামার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। গত মঙ্গলবার একটি উড়োজাহাজ সেখানে সাগরতলে একটি ‘ছায়া’ দেখতে পায়। ওই ছায়া এয়ারএশিয়ার ফ্লাইট কিউজেড৮৫০১-এর ধ্বংসাবশেষের বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
বিমান চলাচল নিরাপত্তাবিষয়ক এক কর্মকর্তা বলেন, উড়োজাহাজটির ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার করতে এক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। কম দামি টিকিটের শীর্ষ আঞ্চলিক বিমান সংস্থা এয়ারএশিয়ার সহযোগী প্রতিষ্ঠান এয়ারএশিয়া ইন্দোনেশিয়ার ফ্লাইট কিউজেড৮৫০১ গত রোববার ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া থেকে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়।

No comments

Powered by Blogger.