বাসের হেলপার তনু নিখোঁজ একই পরিবারের ৪ জন খুন

ভালুকা উপজেলার লবণকোঠা গ্রামে গতকাল ভোরে স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে ও ২ মেয়েকে শ্বাসরুদ্ধ করে একই পরিবারের ৪ জনকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশের বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠিয়েছে। এদিকে নিহত রফিকুল ইসলাম বাচ্চুর বাসের হেলপার তনুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের লোকজন জানান, তনুর সঙ্গে রফিকুলের বিরোধ ছিল। ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আবদুল্লাহ আল মামুন ও ভালুকা মডেল থানার ওসি গোলাম সারোয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার রাতে একদল দুর্বৃত্ত হবিরবাড়ি ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু-র (৩৫) ঘরে ঢুকে তার স্ত্রী পারুল আক্তার (২৮)-কে ধর্ষণের পর কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় তার মেয়ে জিনিয়া আক্তার (৬) ও রিমা আক্তার (২)-কে মুখ ও হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির উঠানে রফিকুল ইসলাম বাচ্চুকেও কুপিয়ে হত্যা করে। গতকাল সকালে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। নিহত রফিকুল ইসলামের পিতা মো. ওয়ারেছ আলী (৬০) জানান, চার ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে রফিকুল ইসলাম বাচ্চু তিন বছর আগে লবণকোঠা গ্রামে জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছিল। সে শিখা পরিবহন নামে একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-জ-৪৫১৬) কিনে নিজেই স্থানীয় টিএম ট্রেক্সটাইল ফ্যাক্টরির শ্রমিক পরিবহন করতো। তার বাসের হেলপার ছিল যশোহর জেলার তনু (৩০) নামে এক যুবক। সম্প্রতি তার সঙ্গে রফিকুলের কিছু একটা বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল এবং ৪-৫ দিন তনুকে দেখা যায়নি। ওসি (তদন্ত) আবদুল কাদের জানান, নিহত শেফালীকে বিবস্ত্র অবস্থায় এবং তাদের দুই কন্যাশিশুকে নাক-মুখ বাঁধা অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, শেফালীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ভালুকা মডেল থানার ওসি জানান, ঘটনার পর এলাকাবাসী না জেনে গুরুত্বপূর্ণ অনেক আলামত নষ্ট করে ফেলেছেন। তাদের আনাগোনায় আলামত নষ্ট হয়েছে।
জেলা শ্রমিক দলের শোক
ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাচ্চুকে সপরিবারে খুনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবু সায়িদ ও সাধারণ সম্পাদক মফিদুল ইসলাম মোহন। এক বিবৃতিতে নেতারা খুনিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।

No comments

Powered by Blogger.