আনোয়ার উদ্ধার হলেও জানা যায়নি নিখোঁজের কারণ

ট্রাভেল ব্যবসায়ী মাহবুব এফ আনোয়ার (৪৮)-কে নরসিংদীর বেলানগর এলাকা থেকে উদ্ধারের পর সোমবার রাতেই মৌলভীবাজার নিয়ে আসা হয়। গতকাল মৌলভীবাজার মডেল থানায় তাকে সাংবাদিকদের সামনে নিয়ে আসা হলেও অসুস্থ থাকায় কোন কথা বলতে পারেননি। এই সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম জানান ঘটনার পর থেকে পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করে। পুলিশ ও ডিবি কাজ শুরু করে। মোবাইল ট্রেকিং করে ১১ই ডিসেম্বর সর্বশেষ ২টা ৩৮ মিনিটে তার মোবাইলে কথা বলার তথ্য পায়। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত জানা যায়নি নিখোঁজের কারণ। পুলিশ এই সময় আরও জানায় তারা জানতে পেরেছেন এই ব্যবসায়ীর কাছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও লোকজনের কোটি টাকার বেশি পাওনা। তিনিও কোটি টাকার বেশি পাবেন লোকজনের কাছে। তবে পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয় তাকে কেউ অপহরণ করেছিল না পিছনে অন্য কোন ঘটনা ছিল। আনোয়ার নিখোঁজের পর তার স্ত্রী লিপি সংবাদ সম্মেলন করেন। এই সময় এ্যারো-ওয়ার্ল্ডের স্বত্বাধিকারী তার স্বামী বলে জানান। ডিবি পুলিশ সোমবার তদন্তের স্বার্থে এ্যারো-ওয়ার্ল্ডের অফিসের চাবি নিয়ে গেছে। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এ্যারো-ওয়ার্ল্ডের মালিক মূলত সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ছোট ভাই সৈয়দ লিয়াকত আলী। এদিকে নরসিংদীতে উদ্ধারের পর একটি জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিকের কাছে মাহবুব এফ আনোয়ার বলেছেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ছোট ভাই তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অংশীদার এবং তার সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রীর ছোট ভাই সৈয়দ লিয়াকত আলী সাংবাদিকদের (মডেল থানায়) কাছে বলেছেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মূল মালিক তিনি। মাহবুব এফ আনোয়ার সব কিছু দেখাশোনা এবং ব্যবসা পরিচালনা করতেন। এক সময় তার ব্যবসা জমজমাট ছিল। সমপ্রতি তিনি (আনোয়ার) বেশ ঋণগ্রস্ত। এই সময় জানান তিনি নিজেও দুই লাখ টাকা ধার দিয়েছেন। তার সঙ্গে নিখোঁজ হওয়ার আগে তার (লিয়াকত) কথা হয় নিজ বাড়িতে। এই সময় সামনে ছিল পুলিশ ভ্যান। তখন আনোয়ার ফোনে কার সঙ্গে কথা বলছিলেন। এদিকে আনোয়ারের এক ভাই গতকাল জানিয়েছেন আনোয়ার উদ্ধার হওয়ার পর শুধু বলেছেন বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজারের বেড়িরপাড় রেংগস্‌-এর সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার পর জ্ঞান ফিরলে জানতে পারেন নরসিংদী। আর কিছু বলতে পারেননি। মাহবুব এফ আনোয়ারের ছোট ভাই এডভোকেট এহছানুল মাহবুব জুবায়ের জানান উদ্ধারের পর থেকে এখন পর্যন্ত আনোয়ার আনকনসাস। কিভাবে তিনি নরসিংদী গেলেন, কোথায় ৪ দিন ছিলেন তার কিছুই বলতে পারেননি। এখন তার চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালের ডাক্তারের পরামর্শে সিলেট নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সুস্থ  হলে হয়তো সব জানা যাবে।

No comments

Powered by Blogger.