হাসিনার বক্তব্য নোংরামীতে পূর্ণ : মির্জা ফখরুল

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য রুচিহীন ও নোংরামীতে পূর্ণ মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বিএনপি, জিয়া পরিবার এবং খালেদা জিয়া সম্পর্কে চিরাচরিত নিয়েমে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী যে নোংলা ভাষায় কথা বলেছেন তা মুখে উচ্চারন করা যায় না । শনিবার বেলা ১১টার দিকে দলের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ও মালয়েশিয়া সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনের প্রতিক্রিয়া জানাতে এর আয়োজন করে বিএনপি। ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তার চিরাচরিত ভাষায় ও বচনভঙ্গির মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়া ও দেশপ্রেমিক জনগণ সম্পর্কে রুচিহীন, শিষ্টাচার বর্জিত ও মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও আপসহীন নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিয়ে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসাপরায়ণ, শিষ্টাচার বর্জিত, অবিশ্বাস্য নোংরা কথা বলেছেন। পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক দেশে কোনো রাজনীতিবিদকে নিয়ে আরেকজন রাজনীতিবিদ এমন ভাষায় কথা বলেন বলে মনে হয় না।”
ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপিকে কোনো ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিতে হয় না এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া আপসহীন নেতৃত্ব ও জনগণের সমর্থনে স্বৈরাচার এরশাদকে অভুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করেন। ১৯৯১ সালে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। ১৯৯৬ সালে বিশাল চক্রান্তের পরও নির্বাচনে বিএনপি ১১৬টি আসন পায়। আর ২০০১ সালে বিএনপি দুই তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে সরকার গঠন করে।”
তিনি আরো বলেন, “খালেদা জিয়া উড়ে এসে রাজনীতিতে জুড়ে বসেননি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম ও আন্দোলন করেছেন এবং বিএনপির নেতৃত্বে এসেছেন। তিনি আপসহীন নেত্রী। তিনি বিদেশে পালিয়ে গিয়ে বা বিশেষ গোষ্ঠীর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে নয়, জনগণের সমর্থনে ক্ষমতায় এসেছেন।”
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে ১৯৮২ সালে যখন এরশাদ ক্ষমতা দখল করেছিল তখন শেখ হাসিনা বলেছিলেন ‘আই অ্যাম নট আনহ্যাপি’। আবার ২০০৬ সালে যখন জনগণকে বিভ্রান্ত করে, সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করা ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের অবৈধ সরকারকে সমর্থন দিয়ে তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন।”
‘সরকারের পায়ের নিচে মাটি শক্ত আছে’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে ফখরুল বলেন, “পায়ের নিচে মাটি শক্ত হলে পদত্যাগ করে একটি নির্বাচন দিন না। দেখি কার পায়ের নিচে মাটি শক্ত আছে।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.