কারজাবির বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মিশরীয় বংশোদ্ভূত বিশ্বখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ ইউসুফ আল-কারজাবির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল। মিশর সরকারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোল ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে।
মিশরের বর্বর স্বৈরাচার সরকার উদারপন্থী এই সুন্নী মুসলিম শিক্ষাবিদের বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছাকৃত হত্যায় উসকানি, জেলবন্দীদের পালিয়ে যাওয়ায় সহায়তা, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও চুরির’ অভিযোগ এনেছে। এসব অভিযোগে মিশর সরকার তার বিচার করতে চায়। কারজাবি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্সের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি মিশর ভিত্তিক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সুন্নী রাজনৈতিক সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতি সহানুভূতিশীল। আল জাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত তার ইসলামি অনুষ্ঠান ‘শরীয়াহ ও জীবন’ মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়।
গত বছর জুলাইয়ে মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে সেনাবাহিনী বন্দুকের নলের মাথায় উৎখাত করলে তার নিন্দা জানান কারজাবি।
২০১১ সালে স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতনের সময় জেল ভেঙে বহু মানুষ পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মুরসি ও কারজাবির বিরুদ্ধে মামলা করেছে মিশরের সেনা সমর্থিত সরকার।
বর্তমানে কাতারে বসবাস করছেন ৮৮ বছর বয়সী বিশ্ববরেণ্য এই আলেম। তিনি কাতারের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন।
মিশরের পূববর্তী স্বৈরাচারী সরকারগুলোর আমলে তিনি একাধিকবার জেল খেটেছেন। হোসনি মোবারকের পতনের পর তিনি আকস্মিকভাবে তাহরির স্কয়ারে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং জুমার নামাজের ইমামতি করেন।
গত মে মাসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বয়কট করার জন্য মিশরীয়দের প্রতি আহ্বান জানান কারজাবি। ভোটারবিহীন ওই নির্বাচনের মাধ্যমে সাবেক সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি প্রেসিডেন্ট পদ দখল করেন।
তিনি মোহাম্মদ মুরসিকে বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করে তার পুনর্বহালের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সূত্র: ডেইলি নিউজ ইজিপ্ট

No comments

Powered by Blogger.