চলছে অ্যাপ তৈরির মহাযজ্ঞ

(হ্যাকাথনে সমস্যার সমাধান মেলাতে ব্যস্ত কয়েকজন প্রতিযোগী। ছবি: খালেদ সরকার) ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগের মতো রোগের বৃদ্ধি বর্তমানে জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। মানুষের অসচেতনতা ও অজ্ঞানতা এর প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসিন, লিনা, শাহী, নয়ন ও সেঁজুতি এমন একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরির চেষ্টা করছেন, যাতে এসব রোগের নানা তথ্য থাকবে। পাশাপাশি গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমের (জিপিএস) মাধ্যমে কাছের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঠিকানা এবং ফোন নম্বর দেখানোর পরিকল্পনা আছে তাঁদের। এ রকম আরও অনেক অ্যাপ তৈরির প্রতিযোগিতায় নেমেছেন তরুণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার থেকে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) ভবনে শুরু হয়েছে টানা ৩৬ ঘণ্টার মোবাইল অ্যাপ তৈরির প্রতিযোগিতা ‘জাতীয় হ্যাকাথন ২০১৪’।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে।’ অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের যুগ্ম সচিব শ্যামাপ্রসাদ ব্যাপারী, রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুপুন বীরাসিংহে, জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচির প্রকল্প পরিচালক মিয়া মাসুদুজ্জামান, আইডিইবির সভাপতি এ কে এম এ হামিদ, এমসিসি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আবিরসহ অনেকে বক্তৃতা করেন।
এই প্রতিযোগিতায় যানজট, প্রশ্নপত্র ফাঁস, সড়ক দুর্ঘটনা, যৌন হয়রানি, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, নৌ-দুর্ঘটনা, স্বাস্থ্যব্যবস্থার আচরণগত পরিবর্তন এবং অ-সংক্রামক রোগ বৃদ্ধি, এসব সমস্যা দেওয়া হয়েছে। এগুলোর সমাধান দিতে হবে মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে।
জাতীয় হ্যাকাথনে ২৮৮টি দলে ১৬৭৫ জন প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। আজ বিকেলে অ্যাপের চূড়ান্ত প্রদর্শনী ও বিজয়ী ১০ দলের নাম ঘোষণা করা হবে। আইসিটি বিভাগ আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় কারিগরি সহায়তা করছে এমসিসি লিমিটেড। —মেহেদী হাসান

No comments

Powered by Blogger.