চট্টগ্রামসহ অভ্যন্তরীণ কয়েক বন্দরে অচলাবস্থা

নিরাপত্তার দাবিতে লাইটারেজ জাহাজ শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ফলে চট্টগ্রামসহ দেশের অভ্যন্তরীণ কয়েকটি নদীবন্দরে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। এসব বন্দরে পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। এদিকে ধর্মঘট প্রত্যাহার প্রশ্নে শ্রমিক নেতারা একমত হতে পারেননি। রোববার বিকালে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুর রহমান বন্দর ভবনে নৌশ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এর আগে দুপুরে বন্দর রেস্ট হাউসে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
অপরদিকে নৌযান শ্রমিকদের একটি অংশ চট্টগ্রাম থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণার বিরোধিতা করেছে। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শাহ আলম বলেছেন, যেসব নেতা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন তারা সরকারের লোক। তিনি বলেন, নিখোঁজ লোকদের উদ্ধার এবং নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে। নৌপথে চাঁদাবাজি-ডাকাতি বন্ধ, লক্ষ্মীপুরে নিখোঁজ শ্রমিকদের বের করাসহ বিভিন্ন দাবিতে শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করে লাইটারেজ শ্রমিকরা। গত দুদিনের ধর্মঘটে
নিরাপত্তার দাবিতে লাইটারেজ জাহাজ শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ফলে চট্টগ্রামসহ দেশের অভ্যন্তরীণ কয়েকটি নদীবন্দরে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। এসব বন্দরে পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। এদিকে ধর্মঘট প্রত্যাহার প্রশ্নে শ্রমিক নেতারা একমত হতে পারেননি। রোববার বিকালে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুর রহমান বন্দর ভবনে নৌশ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এর আগে দুপুরে বন্দর রেস্ট হাউসে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
অপরদিকে নৌযান শ্রমিকদের একটি অংশ চট্টগ্রাম থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণার বিরোধিতা করেছে। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শাহ আলম বলেছেন, যেসব নেতা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন তারা সরকারের লোক। তিনি বলেন, নিখোঁজ লোকদের উদ্ধার এবং নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে। নৌপথে চাঁদাবাজি-ডাকাতি বন্ধ, লক্ষ্মীপুরে নিখোঁজ শ্রমিকদের বের করাসহ বিভিন্ন দাবিতে শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করে লাইটারেজ শ্রমিকরা। গত দুদিনের ধর্মঘটে চট্টগ্রাম, মংলাসহ দেশের অভ্যন্তরীণ কয়েকটি নদীবন্দরে পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। তবে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, লাইটারেজ জাহাজ শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। ধর্মঘটের কারণে রোববারও পণ্যবোঝাই লাইটারেজ জাহাজ চলাচল এবং জাহাজ থেকে পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ থাকায় পণ্যবাহী ১৫টি মাদার ভেসেলের প্রায় ২০ লাখ টন পণ্য খালাস অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জাহাজগুলো অলস বসে থাকায় প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ হাজার ডলার ডেমারেজ গুনতে হচ্ছে। মাদার ভেসেল থেকে বোঝাই করা ৭ লাখ টন পণ্য নিয়ে ২৫০টি লাইটার জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আটকা পড়েছে ধর্মঘটের কারণে। বহির্নোঙরে টানা দুদিন পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় তার বিরূপ প্রভাব ইতিমধ্যে পড়তে শুরু করেছে। বিভিন্ন শিল্পকলকারখানায় কাঁচামালের অভাবে উৎপাদন বিঘ্নিত হচ্ছে।উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আলাপ-আলোচনার জন্য নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান রোববার সকালে চট্টগ্রামে আসেন। দুপুর ২টার দিকে বন্দর রেস্ট হাউসে নৌযান শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মন্ত্রী। বেঠক অসমাপ্ত রেখেই তিনি ঢাকায় চলে যান জরুরি কাজ থাকার কথা বলে। বিকালে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বন্দর ভবনে নৌশ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সমঝোতার পর শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।বরিশাল ব্যুরো জানায়, নদীপথের নিরাপত্তার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন বরিশালে অবস্থানকারী লাইটারেজ জাহাজের শ্রমিকরা। রোববার সকাল থেকে বরিশাল নগরীসংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর চাঁদমারী, কেডিসি এবং দপদপিয়া পয়েন্টে শতাধিক লাইটারেজ জাহাজ নোঙর করে রাখা হয়েছে। এসব জাহাজে টিএসপি ও ইউরিয়া সার, সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল ফ্লাই অ্যাশ, তেলসহ নানা পণ্য রয়েছে। কিন্তু জাহাজের সহস্রাধিক শ্রমিক ধর্মঘট পালন করায় পণ্য খালাস করা যাচ্ছে না। ফলে জাহাজে আটকে আছে এসব পণ্য। বন্দরের শ্রমিক জামাল হোসেন জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরিশাল নৌবন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে বরিশাল নগরীর তিনটি স্পট- কেডিসি, চাঁদমারী ও দপদপিয়াসহ দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোতে অসংখ্য জাহাজ নোঙর করে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ নৌযান ফেডারেশনের আঞ্চলিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একিন আলী মাস্টার বলেন, নৌশ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবিতে বরিশাল নৌবন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকরা। কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, নদীপথের নিরাপত্তার দাবিতে লাইটারেজ জাহাজ শ্রমিকদের ডাকা ধমঘটের ফলে অচল হয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি নৌবন্দর।
, মংলাসহ দেশের অভ্যন্তরীণ কয়েকটি নদীবন্দরে পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। তবে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, লাইটারেজ জাহাজ শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। ধর্মঘটের কারণে রোববারও পণ্যবোঝাই লাইটারেজ জাহাজ চলাচল এবং জাহাজ থেকে পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ থাকায় পণ্যবাহী ১৫টি মাদার ভেসেলের প্রায় ২০ লাখ টন পণ্য খালাস অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জাহাজগুলো অলস বসে থাকায় প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ হাজার ডলার ডেমারেজ গুনতে হচ্ছে। মাদার ভেসেল থেকে বোঝাই করা ৭ লাখ টন পণ্য নিয়ে ২৫০টি লাইটার জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আটকা পড়েছে ধর্মঘটের কারণে। বহির্নোঙরে টানা দুদিন পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় তার বিরূপ প্রভাব ইতিমধ্যে পড়তে শুরু করেছে। বিভিন্ন শিল্পকলকারখানায় কাঁচামালের অভাবে উৎপাদন বিঘ্নিত হচ্ছে।উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আলাপ-আলোচনার জন্য নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান রোববার সকালে চট্টগ্রামে আসেন। দুপুর ২টার দিকে বন্দর রেস্ট হাউসে নৌযান শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মন্ত্রী। বেঠক অসমাপ্ত রেখেই তিনি ঢাকায় চলে যান জরুরি কাজ থাকার কথা বলে। বিকালে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বন্দর ভবনে নৌশ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সমঝোতার পর শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।বরিশাল ব্যুরো জানায়, নদীপথের নিরাপত্তার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন বরিশালে অবস্থানকারী লাইটারেজ জাহাজের শ্রমিকরা। রোববার সকাল থেকে বরিশাল নগরীসংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর চাঁদমারী, কেডিসি এবং দপদপিয়া পয়েন্টে শতাধিক লাইটারেজ জাহাজ নোঙর করে রাখা হয়েছে। এসব জাহাজে টিএসপি ও ইউরিয়া সার, সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল ফ্লাই অ্যাশ, তেলসহ নানা পণ্য রয়েছে। কিন্তু জাহাজের সহস্রাধিক শ্রমিক ধর্মঘট পালন করায় পণ্য খালাস করা যাচ্ছে না। ফলে জাহাজে আটকে আছে এসব পণ্য। বন্দরের শ্রমিক জামাল হোসেন জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরিশাল নৌবন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে বরিশাল নগরীর তিনটি স্পট- কেডিসি, চাঁদমারী ও দপদপিয়াসহ দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোতে অসংখ্য জাহাজ নোঙর করে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ নৌযান ফেডারেশনের আঞ্চলিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একিন আলী মাস্টার বলেন, নৌশ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবিতে বরিশাল নৌবন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকরা। কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, নদীপথের নিরাপত্তার দাবিতে লাইটারেজ জাহাজ শ্রমিকদের ডাকা ধমঘটের ফলে অচল হয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি নৌবন্দর।

No comments

Powered by Blogger.