বাংলাদেশের বাইরে যাওয়ার দরকার নেই -স্পেনের রাষ্ট্রদূত লুইস তেজাদা

বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত লুইস তেজাদা বলেছেন, বাংলাদেশে অনেক ভালো তৈরি পোশাক কারখানা আছে। পরিদর্শনের পর পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশের বেশ উন্নতি হয়েছে। চীন, ভারত, পাকিস্তানসহ অনেক দেশের চেয়ে এখানে উৎপাদন খরচ কম। ফলে ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
ঈশ্বরদী ইপিজেডে গত শনিবার ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শন করেন তেজাদা। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজিএমই​এর সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম। গতকাল রোববার ঢাকায় স্পেন দূতাবাসে নিজ কার্যালয়ে কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীকে সে কথাই জানান তিনি।

​স্পেনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘কারখানাটির কর্মপরিবেশ দেখে আমি অভিভূত। এটি নিঃসন্দেহে বিশ্বের ভালো কারখানাগুলোর একটি।’
রানা প্লাজা ধসের পর ক্রেতাদের দুই জোট পোশাক কারখানা পরিদর্শন করছে। এ বিষয়ে তেজাদা বলেন, অধিকাংশ কারখানার মালিক পরির্দশন কার্যক্রমকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন। তাঁরা ইতিমধ্যে কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নে অনেক কাজ করেছেন। তিনি বলেন, স্পেনের ইন্ডিটেক্স, এল কোর্টি ইংলেস, মেংগো, জারাসহ কয়েকটি ব্র্যান্ড বাংলাদেশ থেকে পোশাক কিনে। আশা করি, ব্র্যান্ডগুলো ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি তৈরি পোশাক আমদানি করবে।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে স্পেন, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪ শতাংশ।
কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা কাজ করলেও বিদেশি ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো পোশাকের দর বাড়ায়নি। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তেজাদা কূটনীতিকের মতোই উত্তর দেন। বলেন, ‘এটি একটি আন্তর্জাতিক ব্যবসা। ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান যে দেশে কম দাম পাবে, সেখানেই যাবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়েই আছে। এখানকার উদ্যোক্তারা যদি আরও বেশি পরিমাণে পোশাক রপ্তানি করতে পারেন, তবে ওই সমস্যাটি আর থাকবে না।’ এদিকেই বেশি নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
ভিনটেজ ডেনিম অ্যাবা গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান। ভিনটেজের চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদুর রহমান মৃধা জানান, আড়াই বছর আগে এই কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়। এখানে কাজ করেন দুই হাজার ৩০০ শ্রমিক। কারখানাটির উৎপাদনক্ষমতা মাসে ছয় লাখ পিস ডেনিম।
ভিনটেজের চেয়ারম্যান আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের লিডারশিড ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (লিড) প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে কারখানাটি। বিশ্বে এই সনদ পাওয়া কারখানার সংখ্যা মাত্র তিনটি। বিদ্যুৎ​ সাশ্রয়, কার্বন নিঃসরণ, বজ্য পুনঃপ্রক্রিয়াকর​েণ সফল কারখানা এই সনদ পায়।

No comments

Powered by Blogger.