বদল আসছে হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তায়?

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও
কার্যালয় হোয়াইট হাউস। ছবি: এএফপি
আজকের দুনিয়ার সবচেয়ে পরাক্রমশালী দেশের প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও কার্যালয় হোয়াইট হাউস। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর নিরাপত্তাব্যবস্থা হওয়ার কথা সর্বোচ্চ মাত্রার। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এর নিরাপত্তা বেশ কয়েকবার বিঘ্নিত হয়েছে। আর এ নিয়ে ওয়াশিংটনে উঠেছে বিতর্কের ঝড়। প্রশ্ন উঠেছে, নিরাপত্তা জোরদারে কি হোয়াইট হাউসের বেড়া বদলে ফেলা কিংবা তা বিদ্যুতায়িত করার মতো পরিবর্তন আনা উচিত এখন? আশপাশে সাধারণ মানুষের প্রবেশের সুযোগ থাকায় হোয়াইট হাউসের বেড়া টপকে ভেতরে ঢোকা অসম্ভব নয়। এ রকম ঘটনাও তাই অনেকবারই ঘটেছে। কিন্তু গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি ইরাক যুদ্ধফেরত এক সেনা ছুরি হাতে হোয়াইট হাউসের বেড়া টপকে ভেতরে ঢুকে পড়েন।
তিনি দৌড়ে লন পার হয়ে মূল বাড়ির একটি দরজা পর্যন্ত পৌঁছে যান। এ ঘটনার পর তোপের মুখে পড়ে প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থা সিক্রেট সার্ভিস। দায়িত্ব স্বীকার করে পদত্যাগ করেন পরিচালক জুলিয়া পিয়ার্সন। ইতিমধ্যেই কর্মীদের শৃঙ্খলাভঙ্গসহ নানা অভিযোগে সমালোচিত হচ্ছিল এ এলিট কর্তৃপক্ষ। সার্বিক পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এর মধ্যেই কয়েক দিন আগে আরেক ব্যক্তি বেড়া টপকে হোয়াইট হাউসে ঢুকে পড়ে। তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এ ঘটনা হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা জোরদার করার আলোচনা আবার চাঙা করেছে। বর্তমান মার্কিন প্রশাসন হোয়াইট হাউস ও প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নিরাপত্তার বিষয়টি ‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছে। তবে এটাও বলছে, মার্কিন গণতন্ত্রের প্রতীক হোয়াইট হাউস যেন সুরক্ষিত দুর্গ হয়ে না যায়—সেটাও বিবেচনা করে ভারসাম্য আনা হবে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জশ আর্নেস্ট বলেন, ‘১৮ একর আয়তনের হোয়াইট হাউস প্রাঙ্গণ ঘিরে বোমাপ্রুফ কয়েক স্তরের দেয়াল তৈরি করা যেতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয় না, তাতে যে ভারসাম্যের কথা বলা হচ্ছে, সেটা বজায় থাকবে।’ আর্নেস্ট জানান, বিশেষজ্ঞরা নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন কিংবা প্রযুক্তির ব্যবহারের কথা বলেছেন। এ ছাড়া অতিরিক্ত বেড়া কিংবা অন্য কোনো প্রতিবন্ধকতা ব্যবহার করা যায় কি না, তা-ও বিবেচনা করার কথা বলা হচ্ছে। তবে অনেকের মতো মার্কিন কংগ্রেসম্যান এলিনর হোমস নর্টন বলেন, ‘যেটাই করা হোক, ঐতিহাসিক ও জাতীয় প্রতীক হোয়াইট হাউসের আশপাশে মানুষ যাতে এখনকার মতোই সহজে যেতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’ সূত্র: এএফপি

No comments

Powered by Blogger.