শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন শুক্রবার গণবিক্ষোভ

কোন পিকেটিং ছাড়াই শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন করেছে সম্মিলিত ইসলামী দল। তবে হরতালে বাধা দেয়ার অভিযোগে আগামী শুক্রবার সারা দেশে গণবিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ১১টি ইসলামপন্থি দলের এই মোর্চা। হজ, মহানবী (সা.) এবং তাবলিগ জামাত সম্পর্কে কটূক্তি করে পদচ্যুত মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর গ্রেপ্তার এবং সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এই হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। একই ইস্যুতে অন্য ইসলামী দলগুলো বিক্ষোভ সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। তবে হরতালে জামায়াতে ইসলামী ছাড়া অন্য কোন দল নৈতিক সমর্থন দেয়নি। পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি’র সতর্ক অবস্থানের মধ্য দিয়ে চলা হরতালে রাজধানীসহ দেশের কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। রাজধানীর মিরপুর, পুরাতন ঢাকা, উত্তরাসহ কয়েকটি এলাকায় হরতালের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল হলেও কোন সংঘাত-সহিংসতা হয়নি। হরতালে রাজধানীর জীবনযাত্রা স্বাভাবিক ছিল। সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা খোলা ছিল। গণপরিবহনও স্বাভাবিক নিয়মে চলাচল করেছে। তবে দূরপাল্লার বাস তেমন চলাচল করেনি। ওদিকে লতিফ সিদ্দিকীকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার এবং সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে তৌহিদী জনতার আন্দোলন অব্যাহত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহের সদস্য সচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান। গতকাল সকালে মিরপুর ১১ নম্বরে হরতালের সমর্থনে আয়োজিত মিছিল শেষে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের এই হরতাল নাস্তিক-মুরতাদদের বিরুদ্ধে। লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির আইন পাস করতে হবে। অন্যথায় তৌহিদী জনতার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বিকালে এক বিবৃতিতে জাফরুল্লাহ খান ঈমান রক্ষার তাগিদে সর্বস্তরের ঈমানদার মুসলমান ও বিভিন্ন পেশার ভাইদের স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালনে দেশবাসীকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান। তিনি বলেন, এ শান্তিপূর্ণ, স্বতঃস্ফূর্ত ও অহিংস হরতাল স্মরণকালের সকল রাজনৈতিক দলের হরতালকে হার মানিয়েছে। এ হরতাল প্রমাণ করেছে পীর-আউলিয়ার এদেশে স্ব- ঘোষিত, ধর্মদ্রোহী, মুরতাদ আবদুল লতিফ সিদ্দিকীদের আশ্রয় হবে না। তিনি বলেন, আমাদের হরতাল শান্তিপূর্ণ ও অহিংস হলেও রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনায় বিজিবি, র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রণসজ্জা সরকারের ইসলামবিদ্বেষী মনোভাবের পরিচয় ফুটে উঠেছে। রাজধানীর সকল থানায় থানায় হরতালের সমর্থনে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল অনুষ্ঠিত হলেও ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিছিলসমূহে ন্যক্কারজনকভাবে ধাওয়া করেছে ও হামলা চালিয়েছে। দেশের সকল জেলা শহরের মিছিলগুলোতেও আইনশৃংখলা বাহিনীর নগ্ন হামলা ও বাধা সরকারের ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব ও বাতিল তোষণ নীতি প্রমাণ হয়। যা স্বাধীন, সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক দেশের জন্য লজ্জাজনক। সারা দেশে প্রশাসন ও সরকারি বাহিনীর মিছিলে বাধার প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার দেশব্যাপী গণবিক্ষোভ পালন করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা না হবে ততক্ষণ আমাদের লাগাতার আন্দোলন চলবে।
মানবজমিন সিলেট অফিস: সম্মিলিত ইসলামী দলের হরতাল সিলেটে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। হরতালবিরোধী কোন তৎপরতা না থাকায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক থাকে। সহিংসতা এড়াতে নগরীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে ছিল। সকাল ৯টায় নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় হরতালের সমর্থনে সম্মিলিত ইসলামী দল সিলেট মহানগরের ব্যানারে একটি মিছিল বের করে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন মাওলানা আসলাম রাব্বানী। মিছিলে হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকী, মাওলানা আবুল কাশেমসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে দেখা গেছে। এদিকে, হরতালে নগরীতে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল করলেও অনেকটা যাত্রীশূন্য ছিল। তবে ভারি যান চলাচল বন্ধ ছিল। স্কুল-কলেজে ক্লাস ও পরীক্ষা হয়নি। নগরীর কদমতলী ও কুমারগাঁও টার্মিনাল থেকে আঞ্চলিক সড়কে কোন বাস ছেড়ে যায়নি। মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস চলাচলও বন্ধ রয়েছে। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। হরতালকে কেন্দ্র করে নগরীতে যাতে সহিংস ঘটনা না ঘটে সে জন্য গুরুত্ব্বপূর্ণ মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রহমত উল্লাহ জানান, ভোর থেকেই নগরীতে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করে।
মানবজমিন নাটোর প্রতিনিধি: ইসলামী দলের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল নাটোরে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে পালিত হয়েছে। তবে হরতালের সমর্থনে কোন মিছিল-মিটিং-পিকেটিং বা নেতাকর্মীকে মাঠে দেখা যায়নি। সকালে হরতাল চলাকালে নাটোর থেকে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করেনি, তবে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করছে। ব্যাংক-বীমা, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সরকারি অফিস খোলা থাকলেও উপস্থিতি কম ছিল। আদালত পাড়ায়ও জনসাধারণের তেমন আনাগোনা ছিল না। জেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া থেকে: বগুড়ায় শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালিত হয়েছে। দূরপাল্লার কোন যানবাহন রাস্তায় চলাচল না করলেও সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেনি। রাস্তায় হরতালকারীদের পিকেটিং করতেও দেখা যায়নি। শহরে বেশ কিছু দোকানপাট খোলা দেখা যায়। ব্যাংক-বীমায় কাজ চলছে স্বাভাবিকভাবেই।
মানবজমিন সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে হরতাল ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হচ্ছে। দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ থাকলেও লেগুনা, অটো, সিএনজি চলাচল করছে। শহরে রিকশা, অটোরিকশা চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। দোকানপাটও খোলা রয়েছে। এদিকে, হরতালের সমর্থনে জেলার কোথাও মিছিলের খবর শোনা যায়নি। কোন পিকেটারকেও রাস্তায় দেখা যায়নি। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ প্রতিটি পয়েন্টে অবস্থান করছে।
শিবগঞ্জ (চাঁপাই নবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: শিবগঞ্জে শান্তিপূর্ণ হরতাল পালিত হয়েছে। সকালে ইসলামী সম্মিলিত দলগুলোর নেতাকর্মীরা উপজেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করে। এছাড়া, সকাল ৯টার সময় হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। মিছিলটি শিবগঞ্জের মনাকষা মোড় থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলো প্রদক্ষিণ করে এবং ইসলামী ব্যাংকের সামনে গিয়ে শেষ হয় এবং সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এতে বক্তব্য রাখেন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ। হরতালের কারণে বেশির ভাগ দোকানপাট, স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, ব্যাংক-বীমা ও এনজিও অফিস বন্ধ ছিল। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর সোনামসজিদ স্থলবন্দর অবরোধ করে রাখে এবং সকল কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
মানবজমিন আশুগঞ্জ প্রতিনিধি: হরতালের বিপক্ষে আশুগঞ্জে উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে সমাবেশ করে। সমাবেশে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়া উদ্দিন খন্দকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মুন্সী, মাহবুবুর রহমান, আবুল কালাম, বাদল মিয়া, আমিনুল ইসলাম বাক্কি, যুবলীগের মাহিন আলম বকশি, হাসানুজ্জামান হাসান, শ্রমিক লীগের আবু মোছা, আসফাক সাইফ সাকিল, ছাত্রলীগের মইনুল হক মামুন, একএম রাশেদুজ্জামান রনি, সজিবুর রহমান প্রমুখ।
মানবজমিন স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে: হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী দলগুলো। সকাল ৭টায় নগরীর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহের নেতা মাওলানা শহিদুল ইসলাম ও বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ কামরুজ্জামান চত্বরে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় বক্তারা বলেন, ওলামা-মাশায়েখরা শুধু মসজিদে বসে তসবিহ গুনতেই জানেন না। সরকার যদি নাস্তিক আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি না দেন তবে আরও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হবে। এদিকে হরতালের মধ্যে সকালে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিভিন্ন রুটের ট্রেন চলাচল করলেও দূরপাল্লাসহ অভ্যন্তরীণ রুটের কোন বাস ছেড়ে যায়নি। তবে রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল স্বাভাবিক ছিল। মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার তানভীর হায়দার চৌধুরী জানান, হরতালের কারণে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
মানবজমিন স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে: হরতালের কোন প্রভাব পড়েনি গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে। গার্মেন্ট অধ্যুষিত গাজীপুরে দেড় হাজারের মতো কারখানা থাকলেও কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, চলেছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। হরতাল ডাকা হলেও হরতালের পক্ষে তেমন কোন তৎপরতা দেখা যায়নি গাজীপুর মহানগর এলাকায়। হরতাল পালনের জন্য তারা মাঠেও নামেননি। তবু হরতালকে ঘিরে শিল্প এলাকায় কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা বিশৃঙ্খল অবস্থা যাতে কেউ সৃষ্টি না করতে পারে সে জন্য শিল্প পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। জাতীয় শ্রমিক লীগ নেতা কবির হোসেন মণ্ডল জানান, গাজীপুর মহানগর এলাকার কোন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা এই হরতালে সাড়া দেয়নি। হরতালে কোন প্রভাবও পড়েনি শিল্প এলাকায়। স্বাভাবিক ভাবে কাজকর্ম করেছেন কারখানা শ্রমিকরা।
মানবজমিন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: হরতালবিরোধী মিছিল করেছে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ। সকালে শহরের মহিলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এসময় সিরাজগঞ্জ-২ আসনের এমপি ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. কে.এম হোসেন আলী হাসান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসাহাক আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ও ছাত্রনেতা শেখ খালিদ সাইফুল্লাহ সাদী বক্তব্য রাখেন।
মানবজমিন ওসমানীনগর (সিলেট) প্রতিনিধি: ওসমানীনগরে ঢিলেঢালা ভাবে হরতাল পালন করা হয়েছে। হরতালকে কেন্দ্র করে উপজেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সহিংসতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে ছিল। হরতালে রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল করলেও সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ ছিল।
মানবজমিন স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে: হরতাল যশোরে ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার যানবাহন ছেড়ে না গেলেও স্থানীয় সকল রুটে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। হরতাল বিরোধীদের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। কোন মিছিল-সমাবেশও হয়নি সকাল থেকে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ছিল সতর্ক অবস্থায়। তবে হরতালের আগে শনিবার দিবাগত রাতে পুলিশ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ২০ নেতাকর্মীসহ ৭৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে জামায়াতের ১৭, শিবিরের ৪ ও বিএনপির ৩ জন কর্মী রয়েছেন। হরতালে নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে- এমন আশঙ্কায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে যশোর পুলিশ জানিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.