গাইবান্ধায় ২০৯ কেন্দ্রে ভোট স্থগিত, জামায়াত কর্মী নিহত

ব্যালট পেপার পুড়িয়ে দেওয়া, ভোটকেন্দ্র ও কর্মকর্তাদের ওপর হামলা, সংঘর্ষ এবং নির্বাচনী উপকরণ না পেঁৗছানোর কারণে গাইবান্ধার ৪টি আসনে ২০৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ১০৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৮টি, গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে ৯৬টির মধ্যে ১২টি, গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে ১৩০টির মধ্যে ৭৮টি এবং গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে ১৩০টির মধ্যে ৭১টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এদিকে সুন্দরগঞ্জে সংঘর্ষে জামায়াত কর্মী শাহাবুল ইসলাম তারা (৩৫) নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জে পুনতাইড় (কুষারতাইড়) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের পর উপজেলা সদরে আসার সময় নির্বাচনবিরোধীরা ব্যালট বাক্সসহ কর্মকর্তাদের বহনকারী গাড়িতে পেট্রোল বোমা ছুড়লে প্রিসাইডিং অফিসার ও পুলিশ সদস্যসহ ৪ জন অগি্নদগ্ধ হন। অন্যদিকে সুন্দরগঞ্জের নিজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার মাসুদুর রহমান ইউএনও অফিস থেকে নির্বাচন সরঞ্জাম নিয়ে কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা দিলেও তিনি ওই কেন্দ্রে পেঁৗছতে পারেননি। রাতে এ খবর লেখা পর্যন্ত তিনি নিখোঁজ রয়েছেন বলে তার স্বজনরা দাবি করেছেন।
জানা গেছে, নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার সময় হামলা চালিয়ে সবকিছু ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। ফলে ওই কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের বামনডাঙ্গা এনএম উচ্চ বিদ্যালয় ও মনমথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা ভোট বানচালের জন্য হামলা চালায় ও ভাংচুর করে। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী সমর্থকরা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুললে সেখানে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে ২২ জন আহত হন। এর মধ্যে ওই উপজেলার মনমথ শিমুলতলী গ্রামের জামায়াত কর্মী শাহাবুল ইসলাম তারা ও একই গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে মশিউর রহমান লিটন গুরুতর আহত হন। তাদের সুন্দরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শাহাবুল ইসলাম তারা মারা যান। উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম মঞ্জু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া পলাশবাড়ী উপজেলার তিনমাথা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে নির্বাচনবিরোধীদের সংঘর্ষকালে ২৫ জন আহত হন। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ রাজীব হোসেন, ইসমাইল হোসেন ও মশিউর মিয়াকে পলাশবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.