সপ্তাহের উক্তি

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ১৮ হাজার ভোটকেন্দ্রের মধ্যে কিছু কেন্দ্রে বিএনপি-জামায়াত সহিংসতা সৃষ্টি করে ভোট বন্ধ করতে পেরেছে। বিএনপি-জামায়াত পুরো নির্বাচনই বানচাল করতে চেয়েছিল। জনগণ যে ভোট দিয়েছে, যতটুকু দিয়েছে, তাতেই আমরা সন্তুষ্ট। যতটুকু নির্বাচন হয়েছে তাতেই আমি খুশি।
৭ জানুয়ারি নির্বাচন-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ জানুয়ারির কলঙ্কময় প্রহসনের নির্বাচন বর্জনের মাধ্যমে সরকারের প্রতি জনগণের অনাস্থা আবারও প্রমাণ হয়েছে। একই সঙ্গে প্রমাণ হয়েছে, নির্দলীয় সরকার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন ছাড়া বাংলাদেশে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।
৭ জানুয়ারি বিবৃৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জীবনহানি ও সহিংসতার ঘটনায় আমরা মর্মাহত। অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনটি কম অংশগ্রহণমূলক। রাজনৈতিক দলগুলো কোনো সমঝোতায় পেঁৗছতে না পারা হতাশাজনক_ যদি সমঝোতা হতো তা হলে একটি শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন পাওয়া সম্ভব হতো।
৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন কইছিলাম না ভোট হইব, ভোট হইছে। আমরা পাস করব, পাস করছি। নির্বাচনের গেজেট হইব, গেজেট হইছে। শপথ হইব, শপথ হইছে। শুধু তাই নয়, সংসদীয় কমিটির মিটিং হইছে। সর্বসম্মতক্রমে শেখ হাসিনারে সংসদ নেতা নির্বাচিত করা হয়েছে।
শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ৫ জানুয়ারির তথাকথিত নির্বাচনে নির্বাচিত বলে কথিত কোনো ব্যক্তি সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৪ জানুয়ারি বর্তমান সংসদের মেয়াদোত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কার্যভার নিতে পারেন না। অথচ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে তারা কার্যভার গ্রহণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবনিযুক্ত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণে আইনের কোনো বিধান ভঙ্গ হয়নি। সংবিধানের কোনো অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন করা হয়নি। নবনির্বাচিতরা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই শপথ নিয়েছেন। এসব সংসদ সদস্য আগামী ২৪ জানুয়ারির পর সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়ে আইন প্রণয়নে কাজ করবেন।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এই নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সাংবিধানিক প্রক্রিয়ারই অংশ এবং বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে তাদের জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচন করবেন, তা নির্ধারণ করার এখতিয়ার পুরোপুরি তাদেরই। হিংসা দিয়ে আদৌ এগোনো যাবে না এবং বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নিজের গতিতে চলতে দিতে হবে।
৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, প্রধান বিরোধী শক্তি ওই নির্বাচন বয়কট করেছে। রাশিয়া বাংলাদেশের এমন সরকারের সঙ্গে গঠনমূলক অংশীদারিত্বপূর্ণ যে কোনো সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে, যে সরকার দেশের ভোটারদের প্রকৃত ইচ্ছায় নির্বাচিত হবে। ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি।

No comments

Powered by Blogger.