আশুগঞ্জ কেন্দ্রে গ্যাস ভিত্তিক পস্নান্ট_জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে ৫৫ মে.ও.- শীঘ্রই চালু হচ্ছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২২ জানুয়ারি দেশের বিদু্যত সমস্যা কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে। জাতীয় বিদু্যত গ্রিডে যোগ হচ্ছে ৫৫ মেগাওয়াট। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ উলিস্ন-খিত বিদু্যত পাবার কথা।
আশুগঞ্জ তাপবিদু্যত কেন্দ্রের অভ্যনত্মরে ঐ পস্নান্টটি চালু হবে। রেন্টাল পাওয়ার পস্নান্ট লিমিটেড ৬০ মেগাওয়াট বিদু্যত উৎপাদন করছে। পস্ন্যান্টটি উৎপাদন শুরম্ন করলে এ সেক্টরে আরেক দফা উন্নতি সাধিত হবে। এতে করে জাতীয় গ্রিডে কিছুটা বাড়বে বিদু্যত সরবরাহ। হ্রাস পাবে লোডশেডিং। খবর সংশিস্ন-ষ্ট সূত্রের। সূত্র জানায়, দেশ জুড়ে বিদু্যতের চাহিদা বাড়ায় সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে এর অংশ হিসেবে পস্নান্টটির নির্মাণকাজ চলছে। তাপবিদু্যত কেন্দ্রের অভ্যনত্মরে ১ একর জায়গায় পাওয়ার পস্নান্টটি বসানো হচ্ছে। বসানোর কাজ পুরোদমে চলছে। প্রিসিশন এনার্জি কোম্পানির উদ্যোগে এ কাজ চলছে। এতে ৩শ' কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বিদু্যত উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে আশুগঞ্জ তাপবিদু্যত কেন্দ্র অভ্যনত্মরে বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় এ পাওয়ার পস্ন-ান্টটি বসানো হচ্ছে। সংশিস্ন-ষ্ট সূত্র জানায়, এটি এখন টেস্টিং পর্যায়ে আছে। ২০ প্রকৌশলী, ৫০ কর্মকতর্া কর্মচারী ছাড়াও অনত্মত আড়াই শ' লোক দিনরাত কাজ করছে। দেড় বছর আগে এটি ঠিকাদারী দেয়া হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের মালিকের মৃতু্যর কারণে দেরি হয় নির্মাণ কাজ। এরপর বিদু্যত উন্নয়ন বোর্ডের তৎপরতায় গত বছর মে মাসে এর কাজ শুরম্ন হয়। গ্যাসচালিত এ বিদু্যত পস্ন-ান্টটি প্রতিদিন .৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন হবে বলে জানা গেছে। ৩১ জানুয়ারি থেকে উৎপাদনে যাবার কথা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ঐ দিনই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। ৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন মতাসম্পন্ন বিদু্যত পস্ন-ান্ট চালু হলে দেশের বিদু্যত পরিস্থিতির উন্নতি হবে। বর্তমানে আশুগঞ্জ তাপবিদু্যত কেন্দ্র থেকে ৬০৮ মেগাওয়াট বিদু্যত উৎপন্ন হচ্ছে। যদিও এ কেন্দ্রের উৎপাদনমতা ৬১৮ মেগাওয়াট। বেসরকারী বিদু্যত কেন্দ্রটি জাতীয় গ্রিডে ৫৫ মেগাওয়াট বিদু্যত সরবরাহ করলে প্রতিদিন ৬৬৩ মেগাওয়াট বিদু্যত আশুগঞ্জ থেকে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ সম্ভব হবে। আশুগঞ্জ তাপবিদু্যত কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল খালেক জনকণ্ঠকে বলেছেন, বাইরে কোথাও জায়গা না থাকায় তাপবিদু্যত কেন্দ্রের জায়গায় এটি বসানো হয়েছে। তিনি বলেন, বিদু্যত কেন্দ্রটি চালু হলে জাতীয় গ্রিডে আরও ৫৫ মেগাওয়াট বিদু্যত সরবরাহ করা হবে। বাকি বিদু্যত নিজস্ব কাজের জন্য প্রয়োজন হবে। রেন্টাল পাওয়ার পস্ন-ান্টের প্রকল্প পরিচালক লুৎফুর রহমান বলেন, আমরা সাধ্যমতো কাজ করছি নিধর্ারিত সময়ে চালু করার। কারণ সরকারের সঙ্গে আমাদের চুক্তি আছে। বিশেষ কারণ ছাড়া ৩১ জানুয়ারির উদ্বোধনের তারিখ পিছাবে না।

No comments

Powered by Blogger.