বিদ্যুতের অভাবে চাষবাস লাটে by আরিফুজ্জামান তুহিন

বিদ্যুৎ এখন যায় না, কখনো কখনো আসে- বাংলাদেশের বাস্তবতায় এটা এখন রীতিমতো প্রবাদবাক্যে পরিণত হয়েছে।
বিদ্যুৎ নিয়ে হাহাকার নতুন না হলেও এবার গ্রীষ্ম মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে অতি প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ অতিমাত্রায় দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। সকাল থেকে গভীর রাত, ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায় বিদ্যুতের অপেক্ষায়।


দেশের কোথাও কোথাও দিনে-রাতে মিলিয়ে বিদ্যুতের দেখা মিলছে হাতেগোনা কয়েক ঘণ্টা। সরকার একদিকে বলছে, গ্যাস সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। অন্যদিকে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রায় নিয়মিত যে বিবরণী সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়- তাতে দেখা যায়, উৎপাদনের গ্রাফ বেশ ঊর্ধ্বমুখী। কখনো কখনো উৎপাদনের রেকর্ড সৃষ্টির খবরও ছাপা হয়। কিন্তু রেকর্ডের বিপরীতে বাস্তব অবস্থায় কোনো উন্নতি বোঝা যায় না। বিদ্যুতের সংকট কিছুতেই ঘোচে না। বোরো মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা থাকলেও দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে সেচের পাম্প বন্ধ হয়ে আছে বিদ্যুতের অভাবে। কৃষকের আশঙ্কা, চলতি বোরো মৌসুমে ধস নামতে পারে চাষাবাদে।
এদিকে অধিক দামে রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র (ভাড়ায় চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র) নির্মাণের কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচও বেড়ে গেছে। খরচ বাড়ার অজুহাতে সরকার গত ১৩ মাসে চার দফা বাড়িয়েছে বিদ্যুতের দাম। কিন্তু অধিক দামেও মিলছে না বিদ্যুৎ। বৃষ্টি নামলে অবস্থা খানিকটা সহনীয় হবে- আপাতত এই সান্ত্বনার বাণী ছাড়া আর কিছু শোনা যাচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের মুখ থেকে।
সংশ্লিষ্টব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিগগিরই কাটছে না ঢাকাসহ সারা দেশের লোডশেডিং। সরকার অতিরিক্ত দামে একের পর এক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে অর্থনীতির ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করলেও বিদ্যুৎ সংকটের সমাধান হচ্ছে না। বিদ্যুতের অভাবে ভোগান্তির মধ্যে আছে পুরো দেশ। কর্মকর্তাদের মতে, কেবল বৃষ্টি হলে বর্তমান অবস্থার কিছুটা উন্নতি সম্ভব। তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সহসাই বৃষ্টি নামার কোনো লক্ষণ নেই।
বিদ্যুতের লোডশোডিং কমবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সদস্য (পরিকল্পনা ও উৎপাদন) তমাল চক্রবর্তী গতকাল রবিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এখনই কোনো লক্ষণ নেই। তবে বৃষ্টি হলে লোডশোডিং কিছুটা কমবে। আর সেচ মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থা থেকে মুক্ত হওয়া যাবে না।'
তাহলে অধিক দামের রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো কেন দিনে চালানো হচ্ছে না- তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এই কেন্দ্রগুলো পিকিং। এগুলো পিক আওয়ারে সন্ধ্যার দিকে চালানো হয়। এ কারণে দিনে বন্ধ রয়েছে।'
তবে পিডিবির এ তথ্যের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিদের পাঠানো চিত্রে দেখা যায়, সেচের মূল সময়ে বিদ্যুতের তীব্র সংকটে আক্রান্ত কৃষকরা। মানিকগঞ্জের বিভিন্ন গ্রাম, যশোরের সদর, মনিরামপুর ও ঝিকরগাছা উপজেলায় দিনে ও রাতে মিলিয়ে বিদ্যুতের দেখা খুব কমই মেলে। রাতে সেচকাজে বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা থাকলেও কৃষকরা সারা রাতে দুই ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ পান না।
এ ব্যাপারে যশোর সদর উপজেলার চাচড়া গ্রামের শাজাহান আলী ও ভাতুড়িয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের বক্তব্য প্রায় একই। কালের কণ্ঠকে এই দুই কৃষক বলেন, 'বিদ্যুতের অভাবে আমরা পানি দিতে পারছি না। রাতে বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা থাকলেও বিদ্যুৎ থাকে না। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে আমাদের গ্রামের পাশ দিয়ে কোনোমতে বয়ে যাওয়া মুক্তাস্বরী খাল থেকে শ্যালো মেশিনে পানি তুলে সেচ দিচ্ছি। এভাবে আর কিছুদিন গেলে, খালটাও শুকায় যাবে।'
পিডিবি সূত্রে জানা যায়, গরম পড়ার কারণে এসি ও বৈদ্যুতিক পাখা বেশি চলছে। তাই বিদ্যুতের চাহিদাও এখন অনেক বেশি। গ্রীষ্মের শুরু হয়েছিল দুই হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি নিয়ে।
পিডিবি সূত্রে আরো জানা যায়, গত ২২ মার্চ বিদ্যুতের এ যাবতকালের সব রেকর্ড ছাপিয়ে উৎপাদন হয় ছয় হাজার ৬৬ মেগাওয়াট। তবে তা স্থায়ী ছিল মাত্র ৩০ মিনিট। এরপর আবারও বিদ্যুতের উৎপাদন নেমে আসে পাঁচ হাজার মেগাওয়াটে।
গত ৩১ মার্চ উৎপাদন হয়েছে চার হাজার ৯৭৯ মেগাওয়াট। পিডিবির হিসাব মতে, ওই দিন বিদ্যুতের চাহিদা ছিল পাঁচ হাজার ৮৯৯ মেগাওয়াট। ঘাটতি বা লোডশোডিং ছিল ৯২০ মেগাওয়াট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদ্যুতের প্রকৃত চাহিদা কমিয়ে দেখাচ্ছে সরকার। তাঁদের মতে, প্রকৃত চাহিদা সাড়ে আট হাজার মেগাওয়াটের মতো। আর উৎপাদন প্রায় পাঁচ হাজার মেগাওয়াট। এ বিষয়ে পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক বিডি রহমতউল্লাহ বলেন, 'সরকার ঢাহা মিথ্যা বলছে। বর্তমানে প্রকৃত চাহিদা সাড়ে আট হাজারেরও বেশি। আর সরকার যোগান দিতে পারছে কম-বেশি পাঁচ হাজার মেগাওয়াট। সব সময় তিন হাজার মেগাওয়াটের বেশি ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।'
বোরো নিয়ে বড় সংকট : কৃষকের প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয় ও পিডিবির নির্দেশনা হচ্ছে- তাঁরা যেন রাত ১১টা থেকে পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত সেচের পাম্প চালু রাখেন। কিন্তু এই আশ্বাসে কোনো ফল মিলছে না। রাতেও বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না কৃষক। যদিওবা মেলে লোভোল্টেজের কারণে সেচের পাম্প চালানো যায় না। এ কারণে এবার বোরো চাষে ধস নামতে পারে বলে মনে করছেন কৃষি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
মানিকগঞ্জ জেলার কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদের ভাষায়, বিদ্যুতের অভাব নেই। তিনি বলেন, 'এখানে ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হচ্ছে, কোথাও বিদ্যুতের কোনো সমস্যা নাই।' কিন্তু বাস্তবচিত্র ভিন্ন। খোদ কৃষকের বিদ্যুৎ নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লি গ্রামে ৩০ বিঘার একটি বোরো চাষের প্রজেক্ট নিয়েছিলেন আবদুল বারেক। দিনে-রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় প্রজেক্টের অন্যান্য অংশীদারের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই আছে। আবদুল বারেক কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিদ্যুতের অভাবে এবার ধান কম হবে। বিদ্যুৎ এখানে চার-পাঁচ ঘণ্টার বেশি থাকে না। ফলে কার জমিতে আগে পানি যাবে, কার জমিতে পানি গেলো না- এ নিয়ে নিয়মিত ঝগড়াঝাটি হচ্ছে।'
সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সালেহা বেগম বলেন, 'এখানে দিনে ও রাতে কোনো সময়ই বিদ্যুৎ পাই না। রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় বোরো ধানের অবস্থা ভালো না। এবার ধানের উৎপাদন ভালো হবে না। সব চিটা হয়ে যাবে।'
সদর উপজেলার দিঘি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন রাজা বলেন, 'ছয় বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। চার ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না। এই সময়ের মধ্যে যে পানি তোলা হয়, তা আমার জমিতে আসে না। ধান কিভাবে বড় হবে, সেই চিন্তায় আছি।'
ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলায় সারা দিনে বিদ্যুৎ থাকে বড়জোর ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। সেচের জন্য রাতে বিদ্যুৎ থাকে না বললেই চলে। সেচে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে গত ২৯ মার্চ ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় কৃষকরা উপজেলা কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করেন।
এ জেলার সদর উপজেলার চোরখাই গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম বলেন, 'রাতে সেচের জন্য বিদ্যুৎ পাই না। যাওবা একটু বিদ্যুৎ আসে- তা দিয়ে মোটর চালানো যায় না লো ভোল্টেজের কারণে।' বোরোর ভবিষ্যৎ নিয়ে এই কৃষকের মন্তব্য, 'ভাগ্যে কী আছে জানি না। তবে এবার আগের চেয়ে ফলন কম হবে।'
কুমিল্লার ১৬টি উপজেলাতেই বিদ্যুৎ থাকে না। বিদ্যুতের অভাবে কৃষিপ্রধান এ অঞ্চলের কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার দক্ষিণ রামপুর গ্রামের কৃষক মতিন মোল্লা জানান, 'রাতেও সেচের জন্য বিদ্যুৎ পাই না। পাম্প চালাতে পারছি না। পানির অভাবে ধান গাছ হলুদ হয়ে যাচ্ছে।'
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের কুমিল্লা অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী ও লোড নিয়ন্ত্রণ কমিটির সদস্য আবদুল লতিফ গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এখানে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ দেওয়া হয়, তার থেকে চাহিদা বেশি। এ কারণে সেচের পাম্প চালানোর সময়ও লোডশোডিং হচ্ছে।'
বিদ্যুতের দাবিতে দিনাজপুরে-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে উচিতপুর গ্রামের বাসিন্দারা গত ২৯ মার্চ। তাদের দাবি ছিল অন্তত আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ যেন থাকে। শস্যভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত দিনাজপুরের কৃষকরা পড়েছেন লোডশোডিংয়ের কবলে। দিনাজপুর সদরের চেহেলগাতি কৃষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আজিজুল ইসলাম বলেন, 'রাত ১২টার পরে কারেন্ট আসে। আবার দুই তিন ঘণ্টা পরে চলে যায়। এ অঞ্চলে বিদ্যুতের অবস্থা খুবই খারাপ।'
লোডশোডিংয়ের পাশাপাশি রয়েছে লোভোল্টেজ সমস্যা। লোভোল্টেজের কারণে এরই মধ্যে এ অঞ্চলের অসংখ্য পাম্প নষ্ট হয়ে গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাম্প সারাইয়ের দোকানে এখন নষ্ট হয়ে যাওয়া পাম্পের স্তূপ।
ডিজেলের দাম বাড়ার নেতিবাচক প্রভাব : এদিকে গত বছরের তুলনায় এবার ডিজেলভিত্তিক সেচপাম্প মাঠে কম নেমেছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ডিজেলের দাম দফায় দফায় বাড়ার কারণে অনেক কৃষক এবার নিজস্ব পাম্পগুলো মাঠে নামাননি। তাঁরাও এবার বিদ্যুতের ওপর নির্ভর করছেন। পিডিবি ও কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের তুলনায় এবার সেচযন্ত্রে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে ৮ শতাংশের বেশি। তাদের হিসাব অনুযায়ী, চলতি সেচ মৌসুমে সারা দেশে তিন লাখ এক হাজার ৬৩১টি সেচের পাম্প চালু থাকছে। এর মধ্যে আরইবির আওতায় দুই লাখ ৬০ হাজার ৮৯, পিডিবির ৩৭ হাজার ৩৭০, ওজোপাডিকোর চার হাজার ৯৯, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) ৪৯ এবং ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ২৪টি সেচপাম্প রয়েছে। তাদের হিসাবে, বোরো ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবার নতুন করে এক হাজার ৩৩১টি গভীর নলকূপে বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিএডিসির আওতায় ২৯৫ ও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) আওতায় এক হাজার ৩৬টি। ফলে এবার আরো প্রায় দেড় লাখ হেক্টর জমি সেচের আওতায় এসেছে।
অধিক দামের রেন্টাল বন্ধ :
রেন্টাল বিদ্যুতে জ্বালানি সরবরাহের নিশ্চয়তা দিয়ে সরকার এসব কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি করেছিল। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে তা নিশ্চিত করতে পারেনি সরকার। আবার রেন্টাল থেকে ১৪ থেকে ১৮ টাকা দরে বিদ্যুৎ কেনার কারণে পিডিবি লোকসানের মধ্যে পড়ে। এ কারণে বিদ্যুতের দাম শেষ ১৩ মাসে চার দফায় বাড়াতে হয়েছে।
পিডিবির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'একদিকে উচ্চ দামে তেল কিনে কম দামে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দিতে হচ্ছে, অন্যদিকে রেন্টাল বিদ্যুৎ থেকে অধিক দামে বিদ্যুৎ কিনে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে গিয়ে সরকারের দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, সরকার রেন্টাল বিদ্যুতে জ্বালানি সরবরাহ করতে পারছে না অর্থের অভাবে। এ কারণে দিনের বেলায় অধিকাংশ রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রাখতে হচ্ছে। যার প্রভাব গ্রাম ও শহরের বিদ্যুৎ বিতরণে পড়েছে। বিদ্যুতের বিপর্যয় নেমে এসেছে।

No comments

Powered by Blogger.