পাঠকের মন্তব্য-‘এবার যুক্ত হলো অজ্ঞাত নির্দেশ’

দাবিটা ছিল পাঠকেরই। প্রথম আলোর অনলাইনে (prothom-alo.com) প্রকাশিত তাঁদের মন্তব্য যেন প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। পাঠকই প্রথম আলোর প্রাণ। দেশ-বিদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, খেলা, প্রযুক্তি, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় তাঁরা সারাক্ষণ প্রাণবন্ত রাখেন, চিন্তার খোরাক জোগান সবাইকে।


গত কয়েক দিনে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠকদের কিছু মন্তব্য ঈষৎ সংক্ষেপিত আকারে ছাপা হলো। অনলাইন থেকে পাঠকের মন্তব্য প্রতি সপ্তাহে ছাপা হবে।

www.prothom-alo.com থেকে

বিদ্যুতের দাবিতে আ.লীগের বিক্ষোভ, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি
এই সংবাদ সম্পর্কে গতকাল রোববার দেলোয়ার হোসেন লিখেছেন: আর প্রতিবাদ নয়, এখন চাই অ্যাকশন। যাঁরা অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন এবং এ কাজে যাঁরা সহযোগিতা করছেন, তাঁদের ধরে শাস্তি দিতে হবে।
মো. আসাদুজ্জামান সরকার: বিদ্যুতে খরচ ২০ হাজার কোটি টাকা! কেউ চিন্তা করতে পারেন! ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ করলে বিদ্যুৎ দিয়ে বাংলাদেশ ভাসিয়ে দেওয়া যায়। আর আমরা বিদ্যুৎ পাই না। ২০ হাজার কোটি টাকার হিসাব দেন জনগণের সামনে।

ইউনূসের নেতৃত্বে অনুসন্ধান কমিটি নয়
অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্য গত শনিবার প্রকাশিত হওয়ার পর অনেক পাঠক তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। শোহাগ লিখেছেন: বিশ্বব্যাংকের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস হয়তো যোগ্য, কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য হয়তো তাঁর যোগ্যতার ঘাটতি আছে।
জাকির হোসেন: বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১২ জন উদ্যোক্তার একজন এবং যাঁকে শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি বলে মনে করেন, তাঁরই কিনা নিজেরই প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির্বাচন করার সার্চ কমিটির প্রধান হওয়ার যোগ্যতা নেই! ওরা ভালো মানুষকে কেবল অপমানই করতে পারে!

দেশ চালাচ্ছে কে?
২৯ মার্চ কালের পুরাণ কলামে এ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন সাংবাদিক সোহরাব হাসান। এ লেখার প্রতিক্রিয়ায় জুলফিকার লিখেছেন: ইট ছুড়লে পাথরের আঘাতের অপেক্ষায় থাকতে হবে, হাসিনা ও খালেদা সবার জন্যই তা প্রযোজ্য।
মুনতাসির: যাঁকে উদ্দেশ করে আপনি লিখেছেন, তিনি কি লেখাটির গুরুত্ব বুঝবেন?
তাহসিনা হোসেন: অতি দুঃখের কিন্তু অতীব সত্য কথন। শীর্ষ পর্যায় যদি এতটা ব্যক্তিগত আক্রমণ না করেন তাহলেই তাঁর মঙ্গল, আর আমাদেরও।
ফারুক: লেখক অত্যন্ত সুন্দর করে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সরকারের চোখ খুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সমস্যা হলো যে যাদের চোখ সর্বদাই বন্ধ, কিংবা বলা যায় আজন্ম বন্ধ, তাদের চোখ খুলতে পারবেন—এমন ভরসা বা আশা করা কঠিন।

‘অজ্ঞাত’ নির্দেশে খালেদা জিয়ার অনুষ্ঠান বাতিল
সংবাদটি ২৮ মার্চ প্রথম আলোর প্রধান সংবাদ হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদটি ছিল বহুল পঠিত এবং এ ব্যাপারে অনেক পাঠক তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। মো. মহসিন লিখেছেন: টিভিতে দেখলাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, সরকার থেকে এ ধরনের কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তাহলে? রাষ্ট্রের জন্য এই প্রশ্নবোধক চিহ্ন কিন্তু বিশাল চিন্তার ব্যাপার। কার নির্দেশে, কী চলছে? কে কী চালাবে? কার, কী নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা। মানুষ গুপ্ত হত্যার কথা শুনছে, এবার যুক্ত হলো অজ্ঞাত নির্দেশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি তাঁর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের ব্যাপারে না জানেন তাহলে এখনই কি খুঁজে বের করা উচিত হবে না, কীভাবে অজ্ঞাত নির্দেশ এল? আর তা-ই যদি হয়, তাহলে রাষ্ট্রের অবস্থান কোথায়। আর জনগণ যদি এর সন্তোষজনক উত্তর না পায়, তাহলে বিরোধী দলের অভিযোগ তাদের সঠিক বলেই মনে হবে।
মো. ফয়সাল: আমরা তো এটাই দেখার জন্য আপনাদের ভোট দিয়েছি! এখন যা দেখাচ্ছেন তা তো তুলনাহীন!

বক্তব্য বাদ না দিলে সংসদে যাবে না বিএনপি
আইএসআইয়ের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ও তারেক রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য সংসদের কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার দাবি করে ২৮ মার্চ এ বক্তব্য রাখেন বিএনপিদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদিন ফারুক। এ প্রসঙ্গে পাঠকদের ১০৫টি মন্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। রয়েল লিখেছেন: আপনারা সংসদে গেলেই কি, আর না গেলেই কি হবে? রাজপথেও কিছু করতে পারবেন না। কারণ, আমরা জনগণ এই সরকারের কর্মকাণ্ড অপছন্দ করলেও আরব বিশ্বের জনগণের মতো আন্দোলনে অংশ নিতে রাজি নই।
ফরহাদ: সংসদে থাকুন। ব্যক্তিগত কাদা ছোড়াছুড়ি থেকে বিরত থাকুন। দেখবেন সরকারও আপনাদেরকে অনুসরণ করছে।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে পাকিস্তানের টাকা?
মশিউল আলমের কলামটি প্রকাশিত হয়েছে ২৭ মার্চ। এ লেখার প্রতিক্রিয়ায় মোহাম্মাদ রহমান লিখেছেন: রাজনীতিবিদদের নামে যে সূত্র থেকেই খবর আসবে সবই ছাপাতে হবে! প্রতিবাদ এলে তাও ছাপাতে হবে। সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ।
মুশতাক আহমেদ: দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা হিসেবে প্রথম আলোর ভূমিকা আরও স্পষ্ট ও সাবধানী হওয়ার দাবি রাখে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষকদের ধর্মঘট
২৭ মার্চ প্রকাশিত সংবাদটি সম্পর্কে ফুরফুর খান লিখেছেন: শিক্ষক রাজনীতির ফলে আজ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার মান সবশেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগের ফল হচ্ছে আজকের অবস্থা। এ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক-রাজনীতি বন্ধ করা। যে শিক্ষকেরা রাজনীতি করতে ইচ্ছুক তাঁরা শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাঠক লিখেছেন: সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা শিক্ষকসমাজ চিন্তা করছে বলে মনে হচ্ছে না। আমরা নতুন করে সেশনজটে পড়তে চাই না।...

স্মৃতিসৌধ এলাকায় বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষে অর্ধশত আহত
মহান স্বাধীনতা দিবসের সকালে প্রকাশিত এ সংবাদটি পড়ে ব্যথিত হয়েছেন অধিকাংশ পাঠক। রাজীব লিখেছেন: বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা মারামারিকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। আমি তাদেরকে সাধুবাদ(!) জানাই।

(পাঠকের মতামত বিস্তারিত পড়তে এবং প্রথম আলোয় প্রকাশিত যেকোনো বিষয়ে আপনার মতামত জানাতে ভিজিট করুন prothom-alo.com)

No comments

Powered by Blogger.