থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে আবারও সংঘর্ষ

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার বিরোধপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় গতকাল শনিবার সকালে আবারও দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তবে এতে হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। দুই পক্ষের সেনাদের মধ্যে নয় দিন ধরে এই সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছে।
কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোর ন্যামহোং গতকাল হেগ থেকে দেশে ফিরে নমপেন বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অস্ত্রবিরতির বিষয়ে দুই পক্ষের মতৈক্যের পরও থাইল্যান্ডের সেনারা রাতে এবং সকালে আমাদের সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় মনে হচ্ছে, প্রতিপক্ষের ওপর আস্থা রাখা আমাদের পক্ষে কঠিন।’ প্রিয়া বিহার মন্দির ও সংলগ্ন এলাকার মালিকানার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আদালতের ১৯৬২ সালের রায় স্পষ্ট করার জন্য লিখিত আবেদন জানিয়ে এসেছেন তিনি।
গতকাল দুই পক্ষের সংঘর্ষের সত্যতা থাইল্যান্ডের সেনারাও নিশ্চিত করেছেন। তবে দুই পক্ষে অস্ত্রবিরতির বিষয়ে মতৈক্য হয়নি বলে দাবি করেছে থাইল্যান্ড। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার দুই পক্ষের কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে কোনো সমঝোতা হয়নি।
থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সুরিন প্রদেশের বিতর্কিত সীমান্তে তা মোয়ান ও তা ক্রাবেই মন্দিরসংলগ্ন জঙ্গল এলাকায় গত ২২ এপ্রিল থেকে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। সংঘাতপূর্ণ সীমান্ত এলাকা থেকে ইতিমধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার গ্রামবাসীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তা ক্রাবেই এলাকার প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ৯০০ বছরের পুরোনো প্রিয়া বিহার মন্দির অবস্থিত। গত ফেব্রুয়ারিতে সেখানে দুই দেশের সেনাদের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন নিহত হয়।

No comments

Powered by Blogger.