মরিনহোই যেন রিয়ালের মালিক!

রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার পেপের লাল কার্ড নিয়ে ক্ষুব্ধ হোসে মরিনহো রেফারিকে ব্যঙ্গ করেছেন এবং তারও পরে সংবাদ সম্মেলনে ইউনিসেফকে জড়িয়ে বার্সেলোনার প্রতি রেফারির পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছেন। বার্সেলোনা গেছে উয়েফার দরবারে। পাল্টা হিসেবে রিয়ালও ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার দ্বারস্থ। কিন্তু খোদ রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাবের ভেতর থেকেই এসবের সমালোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এই যে দোষারোপের খেলা, এই যে সম্ভাব্য আইনি লড়াই, এতে স্প্যানিশ ফুটবলেরই ক্ষতি হচ্ছে সামগ্রিকভাবে। যে দেশ বিশ্বের সেরা ফুটবল খেলে, সেই দেশটির ভাবমূর্তি এতে ভূলুণ্ঠিত হয়। উপলব্ধিটা রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক সভাপতি র‌্যামন ক্যালদেরনের।
রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাবে আছে ক্ষমতার লড়াই। বর্তমান সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের সঙ্গে ক্যালদেরনের দ্বন্দ্বটা অজানা নয়। ক্যালদেরন মনে করেন, সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে কোচ মরিনহোকে বিপুল ক্ষমতা দিয়েছেন পেরেজ এবং এটি বিপর্যয় ডেকে আনবে ক্লাবের। বার্সেলোনার কাছে চ্যাম্পিয়নস লিগে হারের পর মরিনহো গণমাধ্যমে যেসব মন্তব্য করেছেন, তাতে ক্যালদেরনের মনে হচ্ছে ক্লাবটি তিনিই চালাচ্ছেন! ‘রিয়াল মাদ্রিদে এমনটা হতে পারে না। কিন্তু প্রেসিডেন্ট মরিনহোকে ক্ষমতা দিয়েছেন, মরিনহো যেন ক্লাবের মালিক’—ইউরোপা প্রেসকে বলেছেন ক্যালদেরন।
মরিনহো ক্ষমতার প্রয়োগটা কেমন করছেন সেটিও উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়েছেন সাবেক সভাপতি, ‘এমনকি প্রধান নির্বাহী তার (মরিনহো) রুমে যেতে পারেন না। তিনি রুমে তালা লাগিয়ে রাখেন। এসবের শেষটা ভালো হওয়া অসম্ভব। সবকিছুতেই উল্টোপাল্টা এবং কেলেঙ্কারি হচ্ছে। আমি যখন প্রেসিডেন্ট ছিলাম, তখন এটা কল্পনাই করা যেত না।’
ক্যালদেরনের আরও দুঃখ, এসবের ফল ভোগ করতে হচ্ছে সমর্থকদের। স্প্যানিশ ধনকুবের মনে করেন, চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সার কাছে হারের পর মরিনহোর প্রতিক্রিয়াটা যথার্থ ছিল না, ‘মাদ্রিদ একটা বিশাল ক্লাব, যেটি কখনো রেফারিদের ব্যাপারে অভিযোগ তোলেনি। সংবাদ সম্মেলনটা ছিল লজ্জাজনক। ইউনিসেফ ও রেফারি প্রসঙ্গে প্রশ্ন তোলা ঠিক হয়নি।’

No comments

Powered by Blogger.