উইন্ডিজ সিরিজ উজ্জীবনী সুধা: মঈন খান

অনেক বছর পর এই প্রথমবারের মতো সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলকে নিয়ে কারও কোনো প্রত্যাশা ছিল না। স্পট ফিক্সিং, বোর্ডের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, নানাবিধ বিতর্ক পাকিস্তান ক্রিকেটকে একেবারেই বিধ্বস্ত করে রেখেছিল। শহীদ আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন দলটিও ছিল একেবারেই তারুণ্যনির্ভর। কিন্তু এ তরুণ দলটিই যখন বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে গেল তখন সবাই অবাক বিস্ময়ে তারিফ করেছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটের ঐতিহ্যকে। এ দেশটির ক্রিকেট ঐতিহ্যই তো এমন—টান টান উত্তেজনার অনিশ্চয়তা!
গোটা নব্বইয়ের দশকই ছিল পাকিস্তান ক্রিকেটের শক্তিমত্তা প্রদর্শনের। সে সময় একঝাঁক প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের উপস্থিতি দলটিকে পরিণত করেছিল বিশ্বের অন্যতম সেরা দলে। ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, সাঈদ আনোয়ার, আমির সোহেল, ইজাজ আহমেদ ও মঈন খানেরা এখন অতীত। নতুন একটি দলকে গড়ে তোলার সংগ্রামে লিপ্ত এখন দেশটির ক্রিকেট প্রশাসকেরা। সেই স্বপ্নের প্রজন্মের অন্যতম প্রতিনিধি মঈন খান মনে করেন পাকিস্তানের বর্তমান ক্রিকেট প্রজন্ম এক ভাঙা-গড়ার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে। আর এ সময়, যেকোনো সাফল্যই তাদের দুর্দান্তভাবে উজ্জীবিত করবে।
মঈন খান বলেন, চলমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রতিটি ওয়ানডে ম্যাচে জয় বর্তমান সময়ের হিসেবে দারুণ একটি ফলাফলই। তিনি বলেন, ‘সবাইকে মনে রাখতে হবে পাকিস্তানের এ দলটি খুবই তরুণ। এ দলটিকে নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে জয়গুলো দলটির তরুণদের মানসিকভাবে উজ্জীবিত করবে।’
নিজে উইকেটরক্ষক থাকায় দলের বর্তমান উইকেটরক্ষকদের ওপর একটি আলাদা দৃষ্টিই সব সময় থাকে মঈন খানের। তাঁর মতে, দলের বর্তমান উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ সালমানের জায়গায় নির্বাচকেরা সরফরাজ আহমেদকে নিতে পারতেন। কারণ, ঘরোয়া ক্রিকেটে সরফরাজের পারফরম্যান্স বেশি ভালো।
মঈন খান বলেন, নির্বাচকদের উচিত ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করেই দলের খেলোয়াড় নির্বাচন করা।’

No comments

Powered by Blogger.