দু-এক দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ফান্ড অনুমোদনের প্রস্তাব

পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ‘বাংলাদেশ ফান্ড’ নামে একটি ওপেন এন্ড মিউচুয়াল ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে ফান্ডটির উদ্যোক্তা অংশের অংশগ্রহণ প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। শুধু অগ্রণী ব্যাংক ও জীবন বীমা করপোরেশনের অংশ অনুমোদন পেলে দুই-একদিনের মধ্যে ফান্ডটি চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (এসইসি) পাঠানো হবে। এসইসির অনুমোদন পাওয়ার পর ফান্ডটি বাজারে আসবে। ফান্ডের মূল উদ্যোক্তা রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়েকুজ্জামান এসব তথ্য জানান।
ফায়েকুজ্জামান বলেন, মূল উদ্যোক্তা হিসেবে ইতিমধ্যে আইসিবির পরিচালনা পর্ষদ ফান্ডের ১০ শতাংশ অর্থাত্ ৫০০ কোটি অনুমোদন করেছে। সহ-উদ্যোক্তা হিসেবে সোনালী ব্যাংকের ২০০ কোটি, জনতা ব্যাংকের ২০০ কোটি, রূপালী ব্যাংক ১০০ কোটি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল) ১০০ কোটি, সাধারণ বীমা করপোরেশন ১০০ কোটি টাকা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদন করেছে। এ ছাড়া অগ্রণী ব্যাংক ও জীবন বীমা করপোরেশন মিলে বাকি ৩০০ কোটি টাকা দেবে বলে মৌখিকভাবে জানিয়েছে। তিনি জানান, ফান্ডটির অনুমোদন নিয়ে গত বৃহস্পতিবার এসইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের অংশ চূড়ান্ত হলেই অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হবে। এসইসির অনুমোদন পাওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফান্ডটি বাজারে আসবে।
ফায়েকুজ্জামান আরও বলেন, উদ্যোক্তা ও সহ-উদ্যোক্তাদের অংশ চূড়ান্ত হওয়ার পর বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উদ্যোক্তাদেরকে ফান্ডটিতে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হবে। এ ছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও ফান্ডটিতে অংশ নিতে বলা হবে।
একটি বিদেশি সংস্থা ফান্ডটির বিষয়ে বিরূপ মন্তব্যের ব্যাপারে ফায়েকুজ্জামান বলেন, ‘আমরা এখানে নেতিবাচক কিছু দেখছি না। এটি একটি মিউচুয়াল ফান্ড। পুঁজিবাজার আইনে মিউচুয়াল ফান্ডের সব নিয়ম মেনেই ফান্ডটি আসছে। তিনি এ ধরনের মন্তব্যের কোনো ভিত্তি নেই বলে মনে করেন।’ তিনি আরও বলেন, পাঁচ হাজার কোটি টাকার ‘বাংলাদেশ ফান্ড’ গঠনের বিষয়ে কোনো সংশয়ের অবকাশ নেই।
পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো একটি যৌথ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেয়। কয়েক দফা আলোচনার পর গত ৬ মার্চ ‘বাংলাদেশ ফান্ড’ নামে পাঁচ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। এই ফান্ডের ৫০ শতাংশ মুদ্রাবাজারে এবং বাকি ৫০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা হবে। তবে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সীমা বাড়ানো হতে পারে। এ ছাড়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তহবিলের আকার বাড়ানো যাবে। তহবিলের মূল উদ্যোক্তা আইসিবি। প্রাথমিকভাবে সহযোগী উদ্যোক্তা হিসেবে রয়েছে চার রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, রূপালী, অগ্রণী ও জনতা ব্যাংক এবং জীবন বীমা করপোরেশন, সাধারণ বীমা করপোরেশন ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল)।

No comments

Powered by Blogger.