হেইডেন একজন ‘ক্ষুদ্র-হূদয়’ ক্রিকেটার: হরভজন

ক্রিকেটের পাশাপাশি লেখা-টেখার কাজগুলো অস্ট্রেলীয় খেলোয়াড়েরা বেশ ভালোই পারেন। আর পারেন বলেই একাধারে প্রায় সব অসি ক্রিকেটারেরই রয়েছে আত্মজীবনীর প্রকাশনা। নব্বইয়ের দশকের শেষ থেকে এই সেদিন পর্যন্ত বিশ্ব ক্রিকেটে রাজত্ব করা অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলের প্রায় সব খেলোয়াড়ই একে একে আত্মজীবনী প্রকাশ করেছেন। এই দলে সর্বশেষ সংযোজন ড্যাশিং ব্যাটসম্যান ম্যাথু হেইডেন। তবে, অন্যদের আত্মজীবনীর চেয়ে হেইডেনেরটা বিতর্কের ডালপালা বেশ ভালোমতোই ছড়িয়েছে। হেইডেন তাঁর বইয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দল, হরভজন সিং, শচীন টেন্ডুলকারকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন, যা পছন্দ হয়নি অনেক ভারতীয় ক্রিকেটবোদ্ধারই। হেইডেনের আত্মজীবনীর বিভিন্ন অংশের সারাসরি জবাব না দিলেও কিছু ব্যাপারে যে তাঁরা প্রচণ্ড বিরক্ত, তা ফুটে উঠেছে অফ-স্পিনার হরভজন সিং ও সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর কথাতেই।
হরভজন সিং ম্যাথু হেইডেনের এই বই পড়েছেন কি না, তা জানা না গেলেও ‘ভাজ্জি’ যে তাঁর ব্যাপারে বেশ ক্ষুব্ধ, তা স্পষ্ট হয়েছে একটি কথাতেই। ‘আমার ক্যারিয়ারে দেখা সবচেয়ে ক্ষুদ্র-হূদয়ের ক্রিকেটার হচ্ছে এই হেইডেন।’ একটি বাক্যেই হেইডেন সম্পর্কে নিজের মনোভাব জানিয়ে দিলেন হরভজন।
২০০৪ সালে নাগপুর টেস্টে সবুজ ঘাসে মোড়া উইকেট দেখে হরভজন ভয়ে আর খেলেননি বলে হেইডেন তাঁর ‘স্ট্যান্ডিং মাই গ্রাউন্ড’ বইয়ে উল্লেখ করেছেন। হরভজন এটিকে ‘নিতান্তই ফালতু কথা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমি জানি না অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা কেন এসব করে। এরা ফালতু কথাবার্তা লিখে নিজেদের বই বিক্রি করার ধান্ধা করে। এমনকি কিছুদিন আগে রিকি পন্টিংও একই রকম কিছু কথাবার্তায় নিজের বই বোঝাই করেছিল। হরভজন আরও বলেন, ‘ভারতীয় দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকজন থেকে শুরু করে সবাই জানে, অসুস্থতার কারণেই আমি নাগপুর টেস্টে দল থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলাম।’
এর পরপরই হেইডেনকে সরাসরি চ্যালেঞ্জই ছুঁড়ে দিয়েছেন হরভজন সিং। তিনি বলেছেন, ‘আমার ক্রিকেটজীবন নিয়ে কথা বলার অনেক মানুষ আছে। হেইডেনকে এ ব্যাপারে নাক না গলালেও চলবে। আমি তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলতে চাই, সাহস থাকে তো সে আমার বল মোকাবিলা করুক। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তেই আমি তাঁকে বল করতে চাই।’

No comments

Powered by Blogger.